ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন বিভিন্ন জেলায় তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। এতে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নারীসহ দুই শ্রমিক মারা গেছেন।
তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে থাকেন আবহাওয়াবিদরা। এছাড়া তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, তখন তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
বাংলাদেশে সাধারণত কোনও স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেখানে সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। বাংলাদেশে চলতি মৌসুমে গত কয়েক দিন ধরে টানা তীব্র গরমের মধ্যে পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন প্রায় ৪৫টির মতো জেলার ওপর দিয়ে এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন মাত্রায়।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় হিটস্ট্রোকে লতিফা (৪০) নামে নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে উপজেলার সিংহাড়ি গ্রামে তিনি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। মৃত লতিফা উপজেলার নারগুন গ্রামের মৃত মোকসেদুলের স্ত্রী।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, অভাবের তাড়নায় ওই নারী তার দেবর ইলিয়াসের পরির্বতে শ্রমিক হিসেবে ৪০ দিনের কর্মসূচির মাটি কাটার কাজ করতে যান। অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে জ্ঞান হারিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
এদিকে, কক্সবাজারের পেকুয়ায় হিটস্ট্রোকে মোহাম্মদ কালু (৫০) নামে দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মেহেরনামা তেলিয়াকাটা গ্রামে তিনি মারা যান।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তি মারা যান। স্বজনদের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, তিনি হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, বিষয়টি কেউ তাকে অবগত করেননি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।