কুমিল্লা প্রতিনিধি : তাসনুবা আকতার, বয়স ২৩ বছর। এই বয়সেই তিনি বেছে নিয়েছেন প্রতারণার পথ। প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক পর্যায়ে তাকে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করে নানা ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন। সর্বশেষ তার প্রতারণার ফাঁদে পড়েন লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মামুন (ছদ্মনাম)। অভিযোগ, ফাঁদে ফেলে মামুনের কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে শনিবার রাতে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এরা হলেন, কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার সুবর্ণপুর এলাকার সৈয়দ আব্দুর রউফ এর ছেলে সৈয়দ আয়াত উল্লাহ (৩৭), বালুতুপা গ্রামের মো. ইসহাক মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন (৪০), একই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. কবির হোসেন (২৮), বরুড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৩৬), গালিমপুর গ্রামের মো. আলী আজগর এর ছেলে মো. আব্দুর রহিম, চান্দিনা উপজেলার কেশরা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাসনুবা আক্তার (২৩) ও লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মো. সাখাওয়াত হোসেন (২৮)।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনে থোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান রাফি ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া প্রমুখ।