আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্মতি না নিয়েই অস্বাভাবিক যৌনাচারে বাধ্য করেছে স্বামী। ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন। তবে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গত বুধবার (১ মে) এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত এবং বৃহস্পতিবার (২ মে) আদালতের ওয়েবসাইটে এর বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।
মামলাকারী নারীর অভিযোগ, তার সঙ্গে তার স্বামী একাধিকবার অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন। কোনো ক্ষেত্রেই মিলনের আগে তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওই প্রকারের মিলনে আদৌ তার সম্মতি ছিল না বলেও জানিয়েছেন নারী। স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন তিনি। অপরটিকে এফআইআর বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন তার স্বামী।
মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি জিএস আলুওয়ালিয়ার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে বলা হয়, যেহেতু ওই নারী ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহিত, তাই জোর করে বা অস্বাভাবিক যৌন সংসর্গ ধর্ষণ নয়।
আদালতের ব্যাখ্যায় বলা হয়, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো প্রকার অস্বাভাবিক যৌনতা ধর্ষণ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়টি অবাস্তব। কারণ অভিযোগকারিণীর বয়স ১৫ বছরের নিচে নয়; এবং বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় আইনে এখনো স্বীকৃত নয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সংশোধিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৫-ঊর্ধ্ব স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর কোনো প্রকার যৌন সংসর্গ ধর্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে তাই স্ত্রীর সম্মতির বিষয়টি বিবেচ্য হয় না।
একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ধারা অনুযায়ী একটি ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন স্ত্রী। স্বামী এবং স্ত্রী আদালতের নির্দেশে আলাদা থাকার সময় স্বামী যদি স্ত্রীর সম্মতি না নিয়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাহলে ওই অভিযোগ বৈধ হতে পারে।