ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত ৪০টি বসতঘর, কয়েকটি দোকানসহ হাঁস-মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় এবং তার ছিড়ে পড়ার কারণে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎসরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। উপজেলার আটটি ফিডারের মধ্যে সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চারটি ফিডারে অংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম এখনো বিদ্যুৎহীন।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নাসিরনগর উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অসংখ্য গ্রামের অন্তত ৪০টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার বেরুইন গ্রামে বিদ্যুতের সাতটি খুঁটিসহ মোট ১৫টি খুঁটি ও ৩০টি স্থানে বড় গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়েছে। এর মধ্যে উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে ১০ থেকে ১২টি বড় গাছ ভেঙে বিদ্যুত সঞ্চালন তারের ওপর পড়ে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলা সদরে ৯টি, কুলিকুন্ডায় ৩টি, দাঁতমন্ডলে ১০টি, নাসিরপুরে ৫টি ধনকুড়ায় ৪টি ও মন্নরপুর গ্রামে ৮-১০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দাঁতমন্ডল গ্রামের আলী মিয়া বলেন, ঝড় আমার একটি নতুন আধপাকা টিনসেডের ঘর উড়িয়ে দুই কিলোমিটার দূরে নিয়ে গেছে। প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নাসিরনগর পল্লি বিদ্যুৎ সমীতির উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার বেরুইন গ্রামে বিদ্যুতের সাতটিসহ মোট ১৫টি বড় খুঁটি ভেঙে গেছে। ২০০ থেকে ২৫০টি মিটার, ৩০টি স্থানে বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে উপজেলা সদরের নাসিরপুর গ্রামে ৪০টি বড় গাছ এবং উপজেলা সদরেই ১০-১২টি বড় গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলায় মোট ৮টি ফিডার রয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চারটি ফিডারে আংশিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখনো উপজেলার অর্ধেকের বেশি গ্রাম বিদ্যুৎহীন। আমাদের লোকজন কাজ করছেন। সমগ্র উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আজ সোমবার রাত পর্যন্ত সময় লাগবে।