চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার ১৫ উপজেলায় মৌসুমের ভারী বৃষ্টিপাত এবং কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। বৃষ্টির ফলে নগরীর বিভিন্নস্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বাড়ির দিকে ফেরা মানুষদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে আজ ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ।
এদিকে, ঝড়ের কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। ওই সব এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের গাছ সরিয়ে নিতে কাজ করতে দেখা গেছে।
সোমবার (৬ মে) বিকেল ৩টা থেকে চট্টগ্রামে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। দমকা হাওয়ার সাথে শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাত। মিরসরাইয়ে শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সড়কে যাতায়াতকারীরা জানান, ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড, সল্টগোলা, বন্দর, নিমতলা, বারিক বিল্ডিং আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, জিইসি, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজ, কাপাসগোলা, চকবাজার, পাঁচলাইশ, ফিরিঙ্গিবাজার, কোতোয়ালি, চাক্তাই, বাকলিয়া, সদরঘাট, পতেঙ্গা, হালিশহরের সব এলাকার সড়ক ৪ থেকে ৫ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে।
চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর ও দুই নম্বর গেইট এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে। শত শত যানবাহন ফ্লাইওভারের ওপর আটকে থাকতে দেখা গেছে।
নগরীর খুলশী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা নুর উদ্দিন বলেন, ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া কারণে নগরীতে দুইটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সংযুক্ত ট্রান্সফরমার রাস্তায় ভেঙে পড়েছে। সংযোগ বন্ধ থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছেন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিপ্তরের আবহাওয়া কর্মকর্তা মেঘনাথ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরীতে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই মৌসুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিপাত।