জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, ডলারের দাম হঠাৎ এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডলার নিয়ে সমস্যা আছে, সঙ্কট এখনো আছে। আমরা গভর্নরকে বলেছি, ডলারের রেট যেন ১১৭ টাকায় থাকে। তিনি আমাদের এক টাকা কম বা বেশি থাকবে বলে জানিয়েছেন। ব্যাংক ঋণের সুদ ১৪ শতাংশের বেশি হবে না বলেও জানিয়েছেন গভর্নর।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে দেশের অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
এফবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, বারবার নীতি পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যাংক ঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না বলে গভর্নর এফবিসিসিআই-কে জানিয়েছেন।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমরা এলসি খুলতে পারছি না। এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইডিএফ) কমিয়ে ৩ বিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। ইডিএফ ফান্ড না থাকলেও বেশ কয়েকটি তহবিল রয়েছে, সেখান থেকে সুবিধা নিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় কিছু গ্রাহকের নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ঋণ হয়েছে। ওই গ্রাহককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। এতে তার ঋণসীমা আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে না। বিষয়টি সমাধানে ব্যাংক এবং গ্রাহকভিত্তিক বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর।