1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

উপজেলা নির্বাচনের ১৬ শতাংশ প্রার্থী অভিযুক্ত, দাপট ব্যবসায়ীদের

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪
  • ৭৮ বার দেখা হয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ১৬ শতাংশ প্রার্থী বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। ১০টির বেশি মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থী ৭ জন। একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ২৭টি মামলা চলমান। এর আগে ১০টির বেশি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৭ জন। পূর্বে সর্বোচ্চ ২৭টি মামলা ছিল একজন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে। প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আঘাত, জনগনের শান্তিভঙ্গ, ভীতি প্রদর্শন, অপমান, উৎপাত, নারী ও শিশু নির্যাতন, প্রতারণা ইত্যাদি অভিযোগে মামলা রয়েছে। প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ‌্য জানা গেছে।

সোমবার (২৭ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সহ-সমন্বয়ক রিফাত রহমান।

হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো তৃতীয় ধাপেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট অক্ষুণ্ন রয়েছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮.১৪ শতাংশে।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৬.৫৩ শতাংশ, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮.৯৯ শতাংশ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৩১.৫৬ শতাংশ ব্যবসায়ী। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৪৮.৫৪ শতাংশ গৃহিণী। গৃহস্থালিকে পেশা হিসেবে দেখানো প্রার্থীদের সাড়ে ১৪ শতাংশের আয় আসে ব্যবসা থেকে। ১৫.১৪ শতাংশ প্রার্থীর কোনো না কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে এখন জনস্বার্থের উপস্থিতি বিরল। আছে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিস্বার্থ বিকাশের সুযোগ। যারা ব্যবসা করেন, অন্য যে কোনো পেশাজীবীর মতো তারা রাজনীতিতে আসবেন, এটি স্বাভাবিক। কিন্তু, প্রশ্ন হলো- ব্যবসায়ীদের আগ্রাসী অংশগ্রহণ সঠিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হচ্ছে কি না এবং জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে তারা রাজনীতিতে আসছেন কি না? অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ছে, বাড়ছে স্থানীয় পর্যায়ে পরিবারতন্ত্র। জনপ্রতিনিধি হতে পারাকে বাজার নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে একদিকে যেমন ক্ষমতা অপব্যবহারের লাইসেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই সংশ্লিষ্ট খাতে সিদ্ধান্ত ও নীতিকাঠামোতে ব্যবসায়ী লবির প্রভাব ও স্বার্থ রক্ষিত হয়। ফলে, যখন অনিয়ম-দুর্নীতি হয় বা সিন্ডিকেট যখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, তখন দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় না। আবার যারা এই গোষ্ঠীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনবেন, তাদেরও একাংশ সুবিধাভোগী, অংশীদার বা সুরক্ষাকারী। ফলে, রাজনীতিতে মুনাফামুখিতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সদিচ্ছার প্রমাণ রেখে এবং নির্বাচনি ইশতেহারের প্রতি সৎ থেকে জবাবদিহিতামূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।’

টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক ও গবেষণাদলের প্রধান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—উপদেষ্টা ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণাদলের সদস্য ও আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সহ-সমন্বয়ক ইকরামুল হক ইভান এবং কে এম রফিকুল আলম।

চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১১১টি উপজেলার প্রায় ৪ হাজার হলফনামায় দেওয়া আটটি তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ, সার্বিক চিত্র, উপজেলাভিত্তিক তুলনা টিআইবির ওয়েবসাইটে ‘হলফনামায় প্রার্থী পরিচিতি’ ড্যাশবোর্ডে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ