বান্দরবান প্রতিনিধি : পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও কন্যার নামে বান্দরবানের সুয়ালক মাঝের পাড়া এলাকায় ২৫ একর জমি লিজ নেওয়া রয়েছে। এই সম্পত্তি দেখাশোনা করেন বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াইচিং মারমা।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে বান্দরবান পৌর এলাকার মধ্যম পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে শাহ জাহানের কাছ থেকে ৩১৪ নম্বর সুয়ালক মৌজায় ৬১৪ নম্বর দাগে ও ৩ নম্বর শিটে ২৫ একর জায়গা লিজ নেন বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মির্জা ও মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর। জায়গাটিতে তারা মাছের প্রোজেক্ট, গরুর খামার, ফলজ বাগান ও সেগুন বাগান করেছেন। গবাদিপশুর খামারে ছোট-বড় ৩৭টি গরু রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান মাঝের পাড়ার চা অফিস থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ওই জমির অবস্থান। প্রোজেক্ট এলাকায় কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সীমানায় কাঁটাতারের বেড়ার পাশাপাশি রয়েছে তালা লাগানো একটি গেট। আশপাশে কোনো বসতি নেই। তবুও সেখানে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। হয়েছে ইট সলিং করা রাস্তা।
গরুর খামারে কাজ করা শ্রমিক লেদু মিয়া জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াইচিং মারমা’র তত্ত্বাবধানে বেনজীর আহমেদের গরুর খামারটি দেখাশুনা করা হয়। শ্রমিকদের মাসিক বেতনও মং ওয়াইচিং মার্মা দিয়ে থাকেন।
সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মার্মা বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের সুয়ালক মৌজার মাঝের পাড়ায় জায়গা আছে তা আমি জানি। জায়গাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াইচিং দেখাশুনা করেন। মাঝে মধ্যে পুলিশের এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাও এখানে আসেন। তার নাম জানি না। সম্প্রতি বাগানটিতে জোত পারমিট করা হয়েছে।’
বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াই চিং জানান, ওই জমির পাশেই তার নিজেরও জমি রয়েছে। সেই সুবাদে সুয়ালকের মাঝের পাড়ায় বেনজীর আহমেদের ২৫ একর জায়গা দেখাশুনার দ্বায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘বান্দরবানে বেনজীর আহমেদের জায়গা-জমি রয়েছে কি না সে বিষয়ে জানা নেই।’