নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর চাটখিলে মেডিক্যাল রির্পোট দেখার কথা বলে ফার্মেসিতে ডেকে নিয়ে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফার্মেসির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২ জুন) রাতে উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে অভিযুক্ত নুর হোসেন পলাশ (৪৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সাথে ফার্মেসি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নুর হোসেন পলাশ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া বাড়ির মো. খোরশেদের ছেলে।
ভুক্তভোগীর মায়ের দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে রোববার ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪ টার দিকে তার কিছু মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখার জন্য তার মেয়েকে ফার্মেসিতে ডেকে নেন নুর হোসেন পলাশ। সেখানে যাওয়ার পর মাস্ক খুললে নাকের কাছে কিছু একটা ধরলে তার মেয়ে অবচেতন হয়ে যায়। এরপর পেছনে আলাদা একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় কিছুটা হুঁশ আশায় বারবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার মেয়ে। ধর্ষণ শেষে অভিযুক্ত নুর হোসেন ছুরি দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। শুরুতে ভয়ের কারণে পরিবারের কাছে বিষয়টি গোপন রাখলেও, কয়েক দিন পর মেয়ে চিরকুট লিখে মাকে ঘটনাটি জানায়।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমি ছোট একটা চাকরি করে সংসার চালাই। যে আমার এই এতিম সন্তানকে এভাবে নির্যাতন করছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় (৩ জুন) সোমবার আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।