আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেক্সিকোর ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ক্লাউদিয়া শেইনবাউম। তার দল ক্ষমতাসীন মোরেনা পার্টি এরই মধ্যে তার জয়ের দাবি করেছে। বিভিন্ন বুথফেরত জরিপেও শেইনবাউমের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরেছে।
সোমবার (৩ জুন) বিবিসি ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রোববার অনুষ্ঠিত হওয়া মেক্সিকোর জাতীয় নির্বাচনের বুথফেরত জরিপ বলছে, ঐতিহাসিক জয়ে মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ক্লদিয়া শিনবাউম। মেক্সিকো সিটির সাবেক এই মেয়র ৫৬ শতাংশ ভোটে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেনবাউমের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জোসিটল গালভেজ বুথফেরত জরিপের এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সমর্থকদের আনুষ্ঠানিক ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন। জরিপগুলো বলছে জোসিটল ৩০ শতাংশ ভোট পাবেন।
এবারের নির্বাচনে একমাত্র পুরুষ প্রার্থী জর্জ আলভারেজ মায়েনেজ এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ সোমবার দিন শেষে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে আশা করা হচ্ছে।
মোরেনা পার্টির প্রেসিডেন্ট মারিও ডেলগাডো এই নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসের একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। দলের সমর্থকরা ইতোমধ্যেই মেক্সিকো সিটির প্রধান চত্বর জোকালোতে পৌঁছাতে শুরু করেছে। ক্লাউডিয়া শেইনবাম, প্রেসিডেন্ট লেখা ব্যানার নিয়ে তারা জড়ো হচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন দলের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও এবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচনে যাননি। ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন তিনি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ছয় বছরের মেয়াদে একবারই প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যাবে।
এই নির্বাচনে নারী প্রার্থীর প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হওয়ার বিষয়টিকে মেক্সিকোতে নারীদের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ঢেউ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ৮৭ বছর বয়সী এডেলমিরা মন্টিয়েল নামের এক নারী বলেন, তিনি বেঁচে থাকতেই দেশটির শীর্ষ পদে একজন নারীকে নির্বাচিত হতে দেখতে পারছেন এটা অনেক বড় পাওয়া।
রোববার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি দেশটিতে পার্লামেন্ট ভোট, সিটি মেয়রসহ স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে একের পর এক সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার ঘটনায় মেক্সিকোজুড়ে ২০ জনেরও বেশি স্থানীয় প্রার্থী নিহত হয়েছেন।