সাভার প্রতিনিধি, ঢাকা : মহাসড়কে কোরবানির পশু পরিবহন করা গাড়ি থামিয়ে ও বিভিন্ন খামারকে লক্ষ করে ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া একটি ডাকাতদলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে ঢাকার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ডাকাতদলে ১২-১৫ সদস্য রয়েছে। ডাকাতদের বাইরেও তাদের আরও সহযোগী রয়েছে। এই সহযোগীদের মধ্যে রয়েছে গরুর ব্যাপারী ও কসাইরা। ডাকাতির পর সেই গরু তারাই কিনে নেন। আর এই গরু ডাকাতির আগেই ডাকাতদের অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখেন এই সহযোগীরা। ফলে তারাও জানেন, কবে ডাকাতির ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার রাতে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ি বাসস্ট্যান্ড ও পার্শ্ববর্তী হাবিব সিএনজি পাম্পের সামনে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুফান (৩৯), মিন্টু (৩৮), ইয়াকুব আলী (৪০), রঞ্জু প্রামাণিক (৩১), মোহর আলী (৫০), আনিস মোল্লা (৩৫), জহিরুল ইসলাম (৪০) ও ফজলুল ইসলাম (২৭)।
এসপি মো আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, আশুলিয়া এলাকায় কয়েকটি বাড়ি ও খামারে ডাকাতির জন্য তারা সমবেত হয়েছিল। তারা আন্তজেলা গরু ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতির জন্য তারা সম্প্রতি নতুন তিনটি ট্রাক কেনেন। এসময় তাদের কাছ থেকে নতুন তিনটি ট্রাক, কাটার, ছুরি, চাপাতি, স্লাই রেঞ্চ, গরু বাঁধার দড়িসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গরুর গাড়িগুলো সড়ক-মহাসড়কে যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য পুলিশ তৎপর। চুরি-ছিনতাই-ডাকাতির মতো ঘটনা প্রতিরোধে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরই জেরে প্রথম দুই জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এই চক্রের সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।