নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুর সদর উপজেলায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় কাওসার (২২) ও আব্দুল লতিফ (৪২) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) উপজেলার রক্ষিতপাড়া এলাকায় ভোর ৪টায় ও বানিয়ারচালা এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানাধীন রক্ষিতপাড়া এলাকায় ভোর ৪টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী একটি মুরগি বোঝাই গাড়ি অলিম্পিক ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছালে গাড়িটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে মুরগির গাড়ির হেলপার গাড়িটির পিছনে এসে ধাক্কা দিয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। এসময় ময়মনসিংহ হতে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান পিছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে মুরগির গাড়ির হেলপার কাওসার ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত কাওসার শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার নয়নপাড়া গ্রামের আবুবক্কারের ছেলে। তিনি মুরগি বহনের গাড়িতে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহম্মেদ জানান, ভোর ৪টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়। তবে মুরগী বোঝাই গাড়িটি সহকারী কাওসাসের মরদেহ ফেলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপরদিকে একই দিনে সদর উপজেলার বাঘেরবাজার বানিয়ারচালা এলাকায় সকাল ১০টার দিকে পাথর ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুলু মুন্সী নামে এক ব্যক্তি বাঘের বাজার থেকে সাফারি পার্কের দিকে বেপরোয়া গতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় আব্দুল লতিফ নামে ওই ব্যক্তি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি সজোরে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে আব্দুল লতিফ গুরুতর আহত হন। স্থানীয় ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আব্দুল লতিফ বানিয়ারচালা এলাকার স্থানীয় আব্দুল আলীমের ছেলে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইবরাহিম খলিল জানান, খবর পেয়ে নিহত আব্দুল লতিফের মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। কিন্তু নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে আইনগতভাবে পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।