ডেস্ক রিপোর্ট : জাতিসংঘের সদর দপ্তরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বুকে জড়িয়ে নেন জো বাইডেন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন জো বাইডেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে তার দেশ পূর্ণ সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান বাইডেন।
এর আগে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টা) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক শুরু হয়।
গত তিন দশকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো বৈঠকের নজির নেই। এমনকি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলার ফাঁকে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় সাক্ষাৎ প্রায় বিরল।
এদিকে বৈঠকের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেকোনো সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে এক বিরল এক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারকে ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান। অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেকোনো সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি দেশের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করতে পারে, তাহলে তাদেরও (যুক্তরাষ্ট্র সরকার) পূর্ণ সহযোগিতা করা উচিত।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লব চলাকালীন ও এরপরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রের ছবি-সংবলিত ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ শীর্ষক আর্টবুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উপহার দেন।