1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
বিমানের ওয়েব টিকেটিংয়ে নতুন পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে যুক্ত হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল অঞ্চলের বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল জনতা ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত অবকাঠামো উন্নয়নে এডিবির সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি ছয় মাসের মধ্যে পুরনো গাড়ি অপসারণ: উপদেষ্টা রিজওয়ানা বাজার নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার: প্রেস সচিব মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন চার দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগামী জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে: গভর্নর

ডা. সাবরিনাসহ ৮ জনের বিচার শুরু

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০
  • ৪৩২ বার দেখা হয়েছে
sabrina

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এ চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত আগামী ২৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের মূল হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ।

আসামি আটজনই কারাগারে রয়েছেন। এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন।

সাবরিনার পক্ষে তার আইনজীবী বলেন, সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। তিনি চেয়ারম্যান না হলেতো অভিযোগই থাকবে না। পুলিশ তদন্তে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতা পায়নি। কাজেই তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসে না। চেয়ারম্যান না হলে তার বিরুদ্ধে কেন চার্জ গঠন হবে।

সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবী বলেন, আরিফুল হকের মাধ্যমে কোনো অপরাধ সৃষ্টি হয়নি। এমন না তিনি যে করোনার টেস্ট করিয়েছেন তার সেই টেস্ট পজিটিভ বা নেগেটিভ দেখানো হয়েছে। এতে ১০ জনের ক্ষতি হয়েছে। আর হুমায়ন কবীর ও তানজীনাকে গত ৯ জুন স্যাক করা হয়। এরপর এসব কাণ্ড ঘটেছে। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তার অব্যাহতির প্রার্থনা করছি।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, শিহাব উদ্দিন, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান চার্জগঠনের পক্ষে শুনানি করেন।

তারা বলেন, আসামিরা প্রত্যেকে যোগসাজশে টাকা নিয়ে জাল জালিয়াতি করে ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। এতে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে। এরা প্রত্যেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সাবরিনা এবং আরিফুল হক এর মাস্টারমাইন্ড। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করছি।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। এসময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

এদিন হুমায়ন কবীর ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

গত ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

অভিযোগ উঠেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথ কেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ