দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন এবং নারী ছয়জন। এরা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ৪,২০৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২,১৩১ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৯২৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ২৭ জন। ফলে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৩ জনে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ৯২টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪৩৮টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১১ হাজার ৬৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৮১৫-তে।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
গতকালের পরিস্থিতি
গতকাল শুক্রবারের (২৮ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৭ জন মারা গেছেন। আর ১৩ হাজার ৭৪১টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা মিলেছে আরও দুই হাজার ২১১ জনের দেহে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
বিশ্বজুড়ে সর্বশেষ
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন আড়াই কোটি প্রায়। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আট লাখ ৪১ হাজার প্রায়। তবে প্রায় পৌনে দুই কোটি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।