1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
বিমানের ওয়েব টিকেটিংয়ে নতুন পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে যুক্ত হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল অঞ্চলের বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল জনতা ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত অবকাঠামো উন্নয়নে এডিবির সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি ছয় মাসের মধ্যে পুরনো গাড়ি অপসারণ: উপদেষ্টা রিজওয়ানা বাজার নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার: প্রেস সচিব মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন চার দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগামী জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে: গভর্নর

বার্সাতেই থাকতে হচ্ছে মেসিকে

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৮৩ বার দেখা হয়েছে
messi-new

বুধবারজুড়ে সারা বিশ্বের টক অব দ্য ফুটবল : লিওনেল মেসির বাবার সঙ্গে বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তেম্যুর বৈঠক। যেখানে নির্ধারিত হতে চলেছে মেসির ভবিষ্যৎ।

প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্তই নেয়া সম্ভব হয়নি। বরং, বার্সেলোনার যে অবস্থান, তাতে মেসিকে ন্যু ক্যাম্পেই থেকে যেতে হবে বলে মনে করছে স্প্যানিশ এবং আজেন্টাইন মিডিয়াগুলো।

বিশেষ করে, আর্জেন্টাইন প্রভাবশালী মিডিয়া টিওয়াইসি স্পোর্টস এবং স্প্যাসিশ প্রভাবশালী মিডিয়া দৈনিক মার্কা- দাবি করছে মেসির বাবা হোর্হে মেসিকে উল্টো বার্সেলোনা বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, মেসিকে বার্সাতেই থাকা উচিৎ। বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু মেসির বাবাকে অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন তার ছেলে বুঝিয়ে-সুজিয়ে মত ফেরাতে সাহায্য করেন।

ইংলিশ মিডিয়াগুলোও দাবি করছে, বার্সেলোনার সঙ্গে যে লড়াই শুরু করেছিলেন মেসি, তাতে তিনি পরাজয় বরণ করার একেবারে দ্বারপ্রান্তে উপণীত হয়েছেন। এর অর্থ, বার্সেলোনা ছেড়ে দেয়ার যে ইচ্ছা তার এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানসিটিতে যোগ দেয়ার যে চিন্তা ছিল- কোনোটাই হচ্ছে না মেসির।

বুধবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে যে বৈঠক হলো, তাতে বার্সা সভাপতিসহ অন্য কর্মকর্তারা মেসির বাবাকে অনুরোধ জানিয়েছেন, মেসিকে সিদ্ধান্ত পূণর্বিবেচনা করার জন্য। বার্সা সভাপতি সরাসরি মেসির বাবা এবং অন্য প্রতিনিধিদের জানিয়ে দিয়েছেন, ‘মেসিকে কখনোই আমরা বিক্রি করবো না। তাকে কেন্দ্র করেই বার্সেলোনা স্পোর্টিং প্রজেক্ট সাজিয়ে তুলছে। সুতরাং, কাল বিলম্ব না করে মেসি যেন বার্সার অনুশীলনে যোগ দেয়।’

কিন্তু মেসির পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধিরা দাবি করেন, ব্যুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে পাঠানো চিঠিতেই মেসি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বার্সেলোনা ছাড়তে চান এবং সেটা ফ্রি ট্রান্সফার ফিতে। কারণ, তার সঙ্গে এখন ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজের শর্তযুক্ত নেই।

বার্সা দাবি করে, চুক্তি অনুযায়ী মেসির রিলিজ ক্লজের দাবি ছেড়ে দেয়ার শেষ সময় ছিল ১০ জুন। কিন্তু সেই তারিখ এরই মধ্যে পার হয়ে গেছে এবং অটোমেটিক্যালি মেসির চুক্তি এক বছর বেড়ে গেছে। এখন ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তাকে ন্যু ক্যাম্পেই থাকতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো ক্লাবে যেতে হলে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর পুরো রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করতে হবে।

মেসির পক্ষ দাবি করে, ২০১৭ সালে বার্সার সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত অনুসারে যে কোনো মৌসুম শেষেই মেসি ফ্রি’তে বার্সেলোনা ছাড়ার অধিকার পাবেন। সেখানে রিলিজ ক্লজ কার্যকরী হওয়ার কোনো শর্ত নেই। তাছাড়া ১০ জুনের যে ডেটলাইনের কথা বলা হচ্ছে, সেটা এবার কার্যকরী হবে না। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে মৌসুম শেষ হতেই তো অনেক বিলম্ব হয়েছে। সুতরাং, ১০ জুনের ডেটলাইন এখানে অকার্যকর।

প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পরও কেউ কারও দাবি থেকে সরে না আসার ফলে অমিমাংসিতভাবেই শেষ হয়েছে বার্সা সভাপতির সঙ্গে মেসির বাবা বৈঠক। এরপর কি হবে, এখনও সেটা স্পষ্ট নয়।

তবে মার্কা দাবি করছে, পরবর্তী পদক্ষেপ হতে পারে মেসি হয়তো এবার প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে এসে কোনো বক্তব্য দেবেন কিংবা বার্সেলোনা মেসিকে কোনো জরিমানা করতে পারে টানা অনুশীলনে অনুপস্থিত থাকার কারণে।

শেষ পর্যন্ত মেসির বার্সা ছাড়ার এই লড়াই চলতে থাকলে সেটা আদালতেও গড়ানোর সম্ভাবনা আছে এবং আদালতই হয়তো ফাইনাল সিদ্ধান্তটি দিতে পারবেন।

ব্যুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের কাছে বার্সা ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে মেসির চিঠি পাঠানোর পর এরই মধ্যে ৮দিন পার হয়ে গেছে। এই সময়ে দাবার গুটির মত খেলা চলছে মেসি এবং বার্সেলোনার মধ্যে। এমনকি রিপোর্ট প্রকাশ হয়ে গেছে, ম্যানসিটি মেসিকে ৫ বছরের চুক্তি করতে যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটাও তিনি গ্রহণ করে নিয়েছেন।

মেসি এখনও বিশ্বাস করেন ব্যুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে পাঠানো চিঠিতেই তার ফ্রি’তে বার্সা ছাড়ার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা বাবা এবং এজেন্ট হোর্হে মেসিও সেটা বিশ্বাস করেন। তবে, ম্যানসিটি কিংবা পিএসজি- কেউ কিন্তু প্রকাশ্যে মেসি এবং বার্সেলোনার এই আইনী মারপ্যাঁচের মধ্যে জড়িয়ে পড়তে চাচ্ছে না। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সে অনুযায়ী এগুতে চাচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ