বিশেষ প্রতিবেদক: ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নিয়েছেন বেসিক ব্যাংকের ঋণ খেলাপির শীর্ষে থাকা রায়হান আজাদ টিটো। আর নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে টিটোকে ওই পদে বসিয়েছেন স্বয়ং বিশ্ববিদ্যলয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নিজেই।
ট্র্যাস্টি বোর্ড প্রতি পাঁচ অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন ট্রেজারার নিয়োগ দিতে পারবেন। বিশ্ববিদালয়টির ভাইস চেয়ারমান হিসেবে কে এম খালেদ দায়িত্ব পালন করলেও রায়হান আজাদ টিটোকে একই পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যা ট্রাস্টি আইনের পরিপন্থি।
জানা গেছে, নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যলয়ের পরিচালক তসলিমা ইসলাম গত কয়েক বছর ধরে মেয়ে রামিশা ইসলামকে নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করেন। তসলিমা ইসলামের অনুপস্থিতিতে আজাদ টিটো বিকল্প পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন। এমনকি নজরুল ইসলামের স্ত্রী তসলিমা ইসলাম দেশে থাকাকালেও রায়হান টিটো পরিচালকের দায়িত্ব ও বোর্ড সভায় বসেন। পাশাপাশি প্রভাব খাটিয়ে টিটোকে চলতি বছরের ২৩ জুলাই ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেন নজরুল ইসলাম।
সুত্র বলছে, যে সময়ে আজাদ টিটো বোর্ড সভায় দায়িত্ব পালন করে, সে সময় তসলিমা ইসলাম দেশে অবস্থান করছিলেন। যা আইনের পরিপন্থী। যেহেতু সে সময় তসলিমা ইসলাম দেশে অবস্থান করছিলেন, সেহেতু রায়হান আজাদ টিটো বোর্ড সভায় থাকতে পারেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নজরুল ইসলাম ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পরবিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছা তাই করেন। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকা রায়হান আজাদ টিটোকে উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত ৫৬ প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রকাশ করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ওই তালিকার শীর্ষে ছিল রায়হান আজাদ টিটোর রিকন্ডিশন গাড়ি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আজাদ ট্রেডিং। এখন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে এমন একজন ঋণ খেলাপি কিভাবে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান?
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে রায়হান আজাদ টিটোর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে- এ বিষয়ে তিনি কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে সামনা সামনি দেখা করে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তবে তিনি একান্ত স্বাক্ষাতের প্রস্তাব দেন।
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড: হান্নান বাংলার কন্ঠকে বলেন, ট্রাস্টি বোর্ড নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করে। আমার কাজ শিক্ষার প্রসার ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা করা।
বাংলার কন্ঠ/এন/৫ অক্টোবর, ২০২০