সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আরও ৩৫ জন, নতুন শনাক্ত ১ হাজার ৫২০ জন। মৃতের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও নারী ১০ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৪৪০ জনে এবং মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৫১ জনে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৮৮টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৩ হাজার ৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫২০ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৫১ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২৬ হাজার ৮০৮টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৯৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৮৬ হাজার ৬৩১ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৬ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৮১ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এ পর্যন্ত মহামারি করোনাভাইরাসে মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ২০০ (৭৭ দশমিক ২১ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ২৪০ জন (২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন, দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন ও ষাটোর্ধ্ব ২২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ছয়জন, রাজশাহীতে দুজন, খুলনায় তিনজন, বরিশাল দুজন, সিলেটে একজন, রংপুর একজন ও ময়মনসিংহে একজন রয়েছেন।