1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
বিমানের ওয়েব টিকেটিংয়ে নতুন পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে যুক্ত হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল অঞ্চলের বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল জনতা ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত অবকাঠামো উন্নয়নে এডিবির সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি ছয় মাসের মধ্যে পুরনো গাড়ি অপসারণ: উপদেষ্টা রিজওয়ানা বাজার নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার: প্রেস সচিব মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন চার দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগামী জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে: গভর্নর

বিশ্বব্যাপী কন্টেইনার সঙ্কট, বিপাকে পোশাক খাত

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩৭১ বার দেখা হয়েছে
container

দেশের রফতানি আয়ের ৮৪ ভাগ আসে পোশাক খাত থেকে। তবে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য খাতের মতো এই খাতও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। করোনা রোধে লকডাউন জারির কারণে পোশাক কারখানা বন্ধসহ বিদেশি ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েন খাত সংশ্লিষ্টরা। রফতানি খাতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ কিছুটা স্বস্তি দিলেও বাধ সেধেছে বিশ্বব্যাপী কন্টেইনার ও জাহাজ সঙ্কট।

রফতানিকারকরা কন্টেইনার সঙ্কটের মধ্যে এয়ারের (উড়োজাহাজ) মাধ্যমে পোশাক ডেলিভারিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ, লাভের অংশ চলে যাচ্ছে উড়োজাহাজ ভাড়ায়। তবে এসব সমস্যার মধ্যে পোশাক খাতে দ্রুত স্বস্তি ফিরবে বলে আশা খাত সংশ্লিষ্টদের।

পোশাক খাতের এক উদ্যোক্তা জানান, ‘এখন বিশ্বব্যাপী সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এর আগে যে জাহাজে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ২১ দিনে সম্ভব হতো, সেটা এখন ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন পড়ছে। এতে বন্দরে কন্টেইনার আটকে যাচ্ছে, আবার কন্টেইনার খালাস না হওয়ায় জাহাজও একই পরিস্থিতিতে পড়ছে। এতে তীব্র কন্টেইনার ও জাহাজ সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় বিকল্প পদ্ধতিতে (উড়োজাহাজ) পণ্য রফতানি করতে হচ্ছে। ক্রেতা আর বাজার ধরে রাখতে বাধ্য হয়ে এভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন, শ্রমিকের মজুরি আর বিমান ভাড়ায় সব চলে যাচ্ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে রফতানিকারকদের।

একই কথা বলছেন পোশাক খাতের আরও বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা। তারা বলছেন, এভাবে চললে পথে বসার উপক্রম হবে।

বিশ্বব্যাপী জাহাজ, খালি কন্টেইনার সঙ্কটের কারণে পণ্য আমদানির খরচ বেড়েছে। জানুয়ারির শুরুতে ফের জল যাতায়াতের খরচ বাড়তে পারে। শিল্পের কাঁচামাল, ভোগ্যপণ্য বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয় জাহাজের মাধ্যমে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জাহাজ চলাচলের সময়সূচি বিঘ্নিত হয়েছে, সে জট এখনও অব্যাহত। এ কারণে খালি কন্টেইনারের অভাব আমদানি বাণিজ্যকে আরও কঠিন করেছে।

নতুন বছরের শুরু থেকে ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরে নতুন চার্জ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছে বড় বড় জাহাজ কোম্পানি। বাড়তি এই খরচ শুষ্ক এবং রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনার, বিশেষ সরঞ্জাম বহনকারী জাহাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পোশাক শিল্পের সঙ্গে নির্মাণ খাতে এর প্রভাব পড়েছে। রড ও ইস্পাত শিল্প স্ক্র্যাপের ওপর নির্ভরশীল, যা সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। এর মধ্যে পরিবহন খরচ প্রায় ১০০ ডলার বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ অন্যান্য রফতানিকারক দেশে শিপিং ফি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া খালি কন্টেনাইরের অভাব সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। চলতি অর্থবছরের বিগত চার মাসে প্রায় ১৭ দশমিক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যেও পণ্য আমদানি করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে পণ্য আমদানি করেছে, যা বিগত অর্থবছরের থেকে প্রায় ১৩ শতাংশ কম। আবার চট্টগ্রাম বন্দরে সব চার্জসহ এক টন ডালের দাম আগে ৫৭০ ডলার থাকলে এখন তা প্রতিটনে ২০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীন থেকে ফল আমদানি করে। জাহাজ চলাচলের খরচ বাড়ার কারণে ফলের দামও বৃদ্ধি পাবে।

তারা বলছেন, ফি বাড়ার আগে সাড়ে ৮ থেকে ৯ ডলারে ২০ কেজি আপেলের কার্টন পাওয়া যেত, যা এখন ১১ থেকে ১২ ডলারে ঠেকেছে। এর ফলে বাড়তি দামে ক্রেতাদের ফল বিক্রি করতে হচ্ছে। খুব শিগগিরই অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই পণ্য পাঠানো থেকে সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। খালাসে শারীরিক দূরত্ব মেনে সব কার্যক্রম চলছে বিশ্বব্যাপী। এতে পণ্য খালাস ও জাহাজীকরণে বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই গুণ অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে।

করোনা পূর্ববর্তী সময়ে ২১ দিনে একটি জাহাজ খালাস হলেও পরবর্তীতে তা ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন পড়ছে। এছাড়া করোনা মহামারির প্রথম দিকে কন্টেইনার জট শুরু হয়েছিল। সে আজও জট কাটেনি। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে শুরু করেছে। এতেই তৈরি হয়েছে শঙ্কা, পণ্য রফতানিতে এখন বিপদে রফতানিকারকরা।

কন্টেইনার সংকট বিষয়ে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘কন্টেইনার সঙ্কট নেই। তবে করোনার কারণে শিপমেন্ট হতে দেরি হচ্ছে। যেকোনো কন্টেইনার এর আগে আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২১ দিনে ক্লিয়ার হতো, এখন সেটা ৩৫ দিন পর্ন্ত সময় লেগে যায়। এই সময়ের ব্যবধান এখন বিশ্বব্যাপী। সব বন্দরেই একইভাবে দেরি হওয়ায় সাময়িক সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।’

কন্টেইনার সঙ্কট রফতানিতে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সাময়িক সঙ্কটের ভয়ঙ্কর দিক আছে। বায়ার আমার মালের অর্ডার বাতিল করছে, আবার অর্ডার দিচ্ছে, আবার বলছে দ্রুত পাঠাতে। এতে বাই এয়ারে (বিমানে) মাল শিপমেন্ট করতে হয়, মাল দ্রুত গেলেও খরচ বেশি পড়ে। যেটা উদ্যোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে, এতে লাভের চেয়ে খরচের অঙ্ক বেশি।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ