1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

মিউচুয়্যাল ফান্ডে পড়ে থাকা টাকা বিনিয়োগে নীতিমালা করছে বিএসইসি

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২৫৪ বার দেখা হয়েছে
bsec-600x337

দেশের শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের ব্যবস্থাপকদের কাছে অলস পড়ে আছে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। অলস এই টাকা বিনিয়োগে নীতিমালা করছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি)। আজ বৃহস্পতিবার এই টাকা বিনিয়োগে একটি নির্দেশনা আসতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে এ তথ্য জানা গেছে।

এই ফান্ডের নাম হবে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবলিস্টমেন্ট ফান্ড অব বিএসইসি’। প্রাথমিকভাবে এর আকার হবে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। এর আকার আরও বড় হতে পারে। কারণ সব কোম্পানির তথ্য এখনো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আসেনি। অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর তথ্য এখানে যুক্ত করা হয়নি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিএসইসিতে ২০ হাজার ৯৪২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার তথ্য একত্রিত করা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ ৯৫৬ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বরের বাজার দর অনুযায়ী বোনাস শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৯৮৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এই টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য একটি নীতিমালা করছে বিএসইসি। আজ বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি হতে পারে।

বিএসইসি মনে করছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টাকা সকল কোম্পানি, ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পড়ে আছে। এগুলোকে একত্র করে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। তবে কোন দাবিদার যদি গঠিত ট্রাস্টে আবদেন করে, তাহলে তাদেরকে ফেরত দেওয়া হবে। এই সুযোগ সবসময় বহাল থাকবে।

বিএসইসি’র সূত্র মতে, পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে এই ফান্ড গঠন করা হচ্ছে। ফান্ড পরিচালনায় ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হবে। এর মধ্যে বিএসইসি থেকে চার জন,ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ,সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ও সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডে (সিসিবিএল) থেকে একজন করে প্রতিনিধি থাকতে পারে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়। জনমত জরিপের পর বিস্তারিত প্রকাশ করবে বিএসইসি।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বছর শেষে আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। পরবর্তীতে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় পর্ষদের ঘোষিত ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেন শেয়ারহোল্ডাররা। অনুমোদনের ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে এই লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছাতে হয়। অনেক সময় শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাব বা ঠিকানা ভুল থাকলে ডিভিডেন্ড যায় না। এই জন্য কোম্পানিগুলো আলাদা একটি হিসাব খুলে এগুলো জমা রাখে। যাতে করে পরবর্তীতে কোন শেয়ারহোল্ডার অভিযোগ করলে তা পূরণ করা যায়। এই পরিমাণ অনেক হয়েছে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে এটি একটি কার্যকর অবস্থা তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১১ ধারার ২ উপ-ধারা অনুযায়ী বিএসইসি তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে যে কোন সময়, যে কোন তথ্য চাইতে পারে কমিশন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ