1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
হেডলাইন :
সাউথইস্ট ব্যাংক ও বেঙ্গল গ্লাস ওয়ার্কসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক  শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে কঠোর হতে চাই না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওয়ালটন ডেস্কটপে বিশাল মূল্যহ্রাস, অনলাইন অর্ডারে আরো ১০% ছাড় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি  নারায়ণগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের মিট দ্য বরোয়ার ও গ্রাহক সমাবেশ ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমল আরও ৫ শতাংশ শিক্ষায় কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে: তারেক রহমান এবার ভরিতে ২৯৩৯ টাকা বাড়ল সোনার দাম ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

প্রত্যাশার চেয়ে বেশি রিটার্ন পাবেন বিনিয়োগকারীরা

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৫০২ বার দেখা হয়েছে
e-genaration

পুঁজিবাজারে প্রথম পিওর সফটওয়্যার ভিত্তিক কোম্পানি হিসেবে যুক্ত হচ্ছে ই-জেনারেশন লিমিটেড। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য তথ্য প্রযুক্তিসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে ই-জেনারেশন। সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এই জায়েন্ট কোম্পানি। দেশের পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানটির যুক্ত হওয়া, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবস্থাসহ নানা বিষয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন ই-জেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান।

শেয়ারবাজারে ই-জেনারেশনে বিনিয়োগ করলে শেয়ারহোল্ডাররা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি রিটার্ন পাবেন আশাবাদ ব্যক্ত করে শামীম আহসান বলেন, শুধু স্থানীয়রাই নয় বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ভালো সাড়া দিয়েছে। দেশি-বিদেশি শেয়ারহোল্ডারদের ভালো রিটার্ন নিশ্চিতে কাজ করবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

কভিড-১৯-এর মহামারির এ সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাত এবং স্টার্টআপ জীবন রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পালন করেছে জানিয়ে ই-জেনারেশন লিমিটেডের এমডি বলেন, আমরা সবসময় এমন সব প্রকল্প নিয়ে কাজ করি, যাতে সেটি অনেক বেশি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। কভিডের সময়ে ই-জেনারেশনের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকার ও প্রতিরক্ষা খাতের প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করেছে। একই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় দেশে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে বিচারপ্রার্থী অসংখ্য মানুষ সমস্যায় পড়েন। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ই-জেনারেশন মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ভার্চুয়াল আদালত প্লাটফর্ম তৈরি করে দেয়। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটকে সঙ্গে নিয়ে একটি ফার্টিলাইজার রিকমেন্ডেশন সফটওয়্যার তৈরি করে দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মাধ্যমে একজন কৃষক মোবাইল অ্যাপ কিংবা ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টারে গিয়ে তার জমিতে কোন ধরনের ফসলের জন্য কী পরিমাণ সার লাগবে, সেটি সঠিকভাবে জানতে পারছেন। এতে কৃষকের উৎপাদনশীলতা শতভাগ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। কভিড সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ড্যাশবোর্ডটিও ই-জেনারেশনের তৈরি। ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য টেকনোলজি সফটওয়্যার তৈরি করে দিয়েছে কোম্পানিটি। এতে প্রান্তিক জনগণের ঋণ দেয়ার প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে। সম্প্রতি মরগান স্ট্যানলির এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনূর্ধ্ব পঁয়ত্রিশ বছরের তরুণ প্রজন্মরা ভবিষ্যতে পরিবেশ ও সমাজের জন্য টেকসই অবদান রাখতে পারছে না এমন কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দেবে। আমরাও চাইছি আমাদের দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিংয়ের পাশাপাশি ইমপ্যাক্ট ওয়েটেড অ্যাকাউন্টিং চালু করুক। প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে এনভায়রনমেন্টাল, সোস্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) রিপোর্টিংয়ে গুরুত্ব দেয় সেটি আমাদের কাম্য। করোনাকালে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা সহযোদ্ধা নামে একটি প্লাজমা নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি। এর মাধ্যমে ৪৫০ মানুষকে প্লাজমা দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের ভিশন হচ্ছে আমরা কোটি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে এশিয়ার প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে চাই।

ই-জেনারেশনের মিশন বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী হাইটেক নেশনে রূপান্তর করা জানিয়ে তিনি বলেন, দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সবসময় পরামর্শ দেওয়া হয় যে হাইটেক কাজগুলো করবে আমেরিকা, ইউরোপ, ভারত ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলো। আর ডাটা এন্ট্রি, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, কল সেন্টারের মতো লো টেক কাজগুলো বাংলাদেশের মতো দেশগুলো করবে। কিন্তু আমরা ই-জেনারেশন এ দর্শনটিকে চ্যালেঞ্জ করেছি। এজন্য আমরা গত কয়েক বছর ধরে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ শুরু করেছি। ব্লক চেইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস ও সাইবার সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করে দেশের মধ্যে শীর্ষপর্যায়ে চলে এসেছি। বাংলাদেশে ই-জেনারেশন একমাত্র কোম্পানি, যারা মাইক্রোসফটের লাইসেন্সিং সলিউশন প্রোভাইডার (এলএসপি)। আমরা এসএপির গোল্ড পার্টনার। এ কাজগুলো কিন্তু আগে ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামের বিদেশী কোম্পানিগুলো করত। দেশের সংবেদনশীল তথ্য বিদেশীদের কাছে থাকা ঠিক নয়। আমি মনে করি, এ ধরনের কাজগুলো দেশি কোম্পানির হাতে থাকা উচিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পাসপোর্ট ও এনআইডির মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোর সঙ্গে দেশী কোম্পানির সংশ্লিষ্টতা কাম্য। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। দেশের পাশাপাশি বর্তমানে আমরা যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যসহ ১০টির মতো দেশে সেবা দিচ্ছি।

পুঁজিবাজারে আসার অন্যতম কারণ হচ্ছে সফলতাগুলো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে জানিয়ে ই-জেনারেশনের এমডি বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানি হলে বিদেশে আমাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে। পিওর সফটওয়্যার ভিত্তিক কোম্পানি হিসেবে আমরাই কিন্তু পুঁজিবাজারে প্রথম। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। আমরা স্বপ্ন দেখি একসময় ই-জেনারেশন নাসডাক বা শেনঝেন কিংবা সিঙ্গাপুর স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা সবসময় এমন প্রকল্পকে বেছে নিয়েছি, যেগুলো আগে কেউ করেনি। এই যেমন ২০১০ সালে আমরাই প্রথম ই-কমার্স প্লাটফর্ম বাগডুম ডটকম প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশের প্রথম ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান পেগাসাস টেক ভেঞ্চার আমরাই নিয়ে এসেছি। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমে আমরা সহজ ডটকম, প্রিয় ডটকম, আজকের ডিল, হ্যান্ডিমামা ও ডিজিকনের মতো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছি। পরবর্তী সময়ে আমাদের অনুসরণ করে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও ভেঞ্চার অর্থায়নে এগিয়ে এসেছে।

কভিড-১৯ মহামারির সময়ে হেলথটেক প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনেও তাদের সম্ভাবনা ভালো থাকবে। তাছাড়া রিমোট ওয়ার্কিং টুল বা ঘরে বসে দূরে থেকেই কাজ করার সফটওয়্যার, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ই-কমার্স, ইন্টারনেট ভিত্তিক বিনোদন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান এবং ই-স্পোর্টসেরও ভালো চাহিদা থাকবে। হাসপাতালগুলোতে সেবা পেতে গিয়ে রোগীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্য খাতের চেহারা পরিবর্তন করে দিতে চাই।

শামীম আহসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে বিদেশি কোম্পানিগুলোর আগ্রাসন। বিদেশপ্রীতির ফলে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাজ পেতে ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু বিদেশিরা সহজেই কাজ পেয়ে যান। এক্ষেত্রে অংশীদারি ভিত্তিতে স্থানীয় ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ