1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
দেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংকের ৪০০তম শাখা উদ্বোধন ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা ইসলামী ব্যাংকের বঙ্গবাজার উপশাখা উদ্বোধন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতা শুক্রবার শুরু রাজবাড়ীর কালুখালীতে এনআরবিসি ব্যাংকের ১০৮তম শাখার উদ্বোধন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক্সিম ব্যাংকের ১৫৫তম শাখা উদ্বোধন প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঢাকা ইপিজেড শাখা এখন নতুন ঠিকানায় বিমানের ওয়েব টিকেটিংয়ে নতুন পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে যুক্ত হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল অঞ্চলের বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত

পুঁজিবাজারে বিলিয়ন ডলারের তালিকায় ৯ কোম্পানি

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২৫৪ বার দেখা হয়েছে
DSE-CSE-600x360-1-600x337 (2)

গত বছরের সেপ্টেম্বরেও দেশের পুঁজিবাজারে বাজার মূলধনের দিক হিসেবে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচটি। তবে গত কয়েক মাসে পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখিতার কারণে বর্তমানে বিলিয়ন ডলারের আরো চার কোম্পানি এ তালিকায় যোগ হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়টিতে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুসারে, বাজার মূলধনে নতুন করে যোগ হওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

বাজার মূলধনের দিক দিয়ে সবার ওপরে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকায়।

তালিকায় এর পরই রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের আরেক বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা। গত বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমানে বাজার মূলধন ৩৬ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।

বাজার মূলধনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক অ্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির বর্তমান বাজার মূলধন ৩৩ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা।

তামাক খাতের বহুজাতিক জায়ান্ট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) লিমিটেড। বর্তমানে বিএটিবিসির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকায়।

ওষুধ খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বাজার মূলধনের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির বাজার মূলধন বর্তমানে ২১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ইউপিজিডিসিএল) বাজার মূলধন ১৫ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। তালিকায় কোম্পানিটির অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে।

ওষুধ খাতের আরেক কোম্পানি রেনাটা লিমিটেড বাজার মূলধনের দিক দিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকায়।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি ও ওষুধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সম্প্রতি বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির তালিকায় স্থান পেয়েছে। পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক উত্থানের কারণে কোম্পানি দুটির শেয়ারদর বেড়েছে, যার প্রভাবে কোম্পানি দুটির বাজার মূলধন বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে আইসিবির বাজার মূলধন ৯ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং বেক্সিমকো ফার্মার বাজার মূলধন ৮ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।

দীর্ঘমেয়াদে কোনো কোম্পানির পারফরম্যান্স যত ভালো হয়, শেয়ারহোল্ডাররা রিটার্নও তত বেশি পান। রিটার্ন বেশি হলে বিনিয়োগকারীদের কাছে সে কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বাড়ে। এভাবে বেড়ে যায় ওই কোম্পানির ভ্যালুয়েশন। সাধারণত ১ বিলিয়ন ডলার কিংবা তার বেশি ভ্যালুয়েশনের কোম্পানিকে আর্থিক বিশ্লেষকরা বড় ও ভালো কোম্পানির স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বয়স ৬৬ বছর হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র নয়টি কোম্পানি বাজার মূলধনের দিক দিয়ে বিলিয়ন ডলারের স্বীকৃতি পেয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সমপর্যায়ের অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। আর প্রতিবেশী ভারতে এ সংখ্যা দুই শতাধিক।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক উত্থানের কারণে শেয়ারদর বাড়ায় বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে। একইভাবে শেয়ারদর কমে গেলে তখন বাজার মূলধনও কমে যাবে। অবশ্য কোম্পানির ব্যবসায়িক ও আর্থিক পারফরম্যান্সে যদি ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি থাকে এবং সেটি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুঁজিবাজারের মন্দা সময়েও এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারদর স্থিতিশীল থাকে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ