1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২৯১ বার দেখা হয়েছে
online-Bo-account

বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তি কমাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেনিফিসিয়ারি অ্যাকাউন্ট (বিও হিসাব) খোলার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এই পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) দিয়ে ঘরে বসে অর্থাৎ অনলাইনে এক পাতার ফরম পূরণ করেই বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। বিএসইসি আশা করছে, ফেব্রুয়ারি মধ্যেই এই পদ্ধিততে বিও হিসাব খোলা শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, চলতি মাসের মধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থাটি চালু হতে পারে। আর আগামী মাসে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী কোনো বাংলাদেশির বিও অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে নতুন করে বিও অ্যাকাউন্ট চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা চালু হলে তাতে দেশ–বিদেশের বিনিয়োগকারীরা সহজে পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও হোক, অথবা সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ—পুঁজিবাজারে শেয়ার কিনতে হলে বিও অ্যাকাউন্ট লাগবেই। সেই বিও অ্যাকাউন্ট খোলাকে সহজ করতেই এবার অনলাইন ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে একেক ব্রোকারেজ হাউস বিও অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে একেক রকম ফি বা মাশুল নেয়। ব্রোকারেজ হাউসভেদে এ মাশুল ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে এ ফি হবে সর্বজনীন। মাত্র ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৪৫০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসে তাদের পছন্দের ব্রোকারেজ হাউসে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পাবেন।

বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ২৬ লাখ। যেগুলোর মধ্যে সোয়া ৭ লাখ বিও অ্যাকাউন্টের কোনো শেয়ার নেই। সাধারণত এসব বিও অ্যাকাউন্টের বড় অংশ শুধু আইপিও আবেদনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নতুন নিয়ম করেছে, আইপিও আবেদন করতে হলে সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। আগামী এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে কিছু বিও অ্যাকাউন্ট কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে অনলাইনে ঘরে বসে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা চালু হলে এবং বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলে তাতে নতুন করে কিছু বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়তে পারে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ