স্বর্ণ ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও অসাধু ভ্যাট কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্য বন্ধে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও মজুরিসহ স্বর্ণালংকাররে দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির নেতারা। ভ্যাট ও মজুরিসহ স্বর্ণালংকার দাম বাস্তবায়ন হলে ২২ ক্যারেট বা ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
এখন বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণালংকার দাম ৭২ হাজার ৬৬৬ টাকা। প্রতি গ্রামের দাম ৬ হাজার ২৩০ টাকা। এর সঙ্গে ২৫০ টাকা মজুরি যোগ হবে। মজুরিসহ প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম হয় ৬ হাজার ৪৮০ টাকা। এর ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট ধরলে প্রতি গ্রামের দাম হবে ৬ হাজার ৮০৪ টাকা। এভাবে এক ভরির স্বর্ণালংকারের দাম হবে ৭৯ হাজার ৩৬১ টাকা।
জানা গেছে, ভ্যাট আদায়ের জন্য ঢাকায় বিভিন্ন জুয়েলার্সে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন বসানো হয়েছে। ঢাকার বাইরে অনেক জুয়েলার্সের দোকানে ইএফডি মেশিন বসানো হয়নি। সেখানে ভ্যাট ও মজুরিসহ স্বর্ণালংকার দাম নির্ধারণ হলেও ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
এ বিষয়ে জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি এনামুল হক বলেন, গত বুধবার সমিতির সাধারণ সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ীদের প্রায় ৭০ শতাংশের সিদ্ধান্ত ভ্যাট ও মজুরিসহ স্বর্ণালংকারের দাম নির্ধারণ করা। এরপরও বিষয়টি নিয়ে আমরা দ্বিধাগ্রস্ত। জেলা পর্যায়ের জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা করছেন- ভ্যাট ও মজুরিসহ দাম নির্ধারণে ছোট ব্যবসায়ীদের দোকানে ক্রেতারা যাবেন না। তারা ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাট ও মজুরিসহ স্বর্ণালংকারের দামের বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটি ও শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, মজুরি নয়, শুধু ভ্যাটসহ স্বর্ণের দাম নির্ধারণের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শ নেব। স্বর্ণের মতো একইভাবে রুপার দামও সমন্বয় হতে পারে।
অন্যদিকে জুয়েলার্স সমিতির সহ-সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে জুয়েলার্স ব্যবসায় ভ্যাট ও মজুরি নেওয়া হচ্ছে। এখানে ভ্যাট ও মজুরিসহ স্বর্ণালংকারের দাম নির্ধারণ হলে স্বর্ণের দাম বাড়বে না। ছোট ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বরং বড় ব্যবসায়ীরা চাপে থাকবেন।