রোববার পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) এর সদস্যদের ওয়ালটনের চন্দ্রা কারখানা পরির্দশন শেষে, কোম্পানির পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম জানান যে ওয়ালটনের আরও দুটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসবে।
কোম্পানি দুটি হলো- ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ও ওয়ালটন প্লাজা লিমিটেড।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের মোট শেয়ারের মাত্র ০.৫৩ শতাংশ শেয়ার বর্তমানে রয়েছে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ০.৪৪ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৯৯.০৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে।
সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, এটা আমরা জানি যে ওয়ালটন সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য স্বল্প শেয়ার নিয়ে পুঁজিবাজারে এসেছে। এজন্য ওয়ালটনের আরও দুটি সহযোগি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।’ ওয়ালটনের দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশি শেয়ার রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ওয়ালটন পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা সংগ্রহ করে।
সংগৃহীত টাকা থেকে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যয় করা হয়েছে। ৩৩ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে কোম্পানিটি।
সিএমজেএফ এর সদস্যদের পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর আলম সরকার, হুমায়ুন কবির, কোম্পানি সেক্রেটারি পার্থ প্রতিম দাস, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া সিএমজেএফ’র সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সহ-সভাপতি এম এম মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম এ কালামসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কারখানা পরিদর্শনের সময় জানানো হয়, বর্তমানে ওয়ালটন দেশের চাহিদা পূরণ করে ৪০টির বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। বিশ্বের নামিদামি অনেক কোম্পানি তাদের ইলেক্ট্রিক পণ্য তৈরি করছে। এরমধ্যে ভারতের রিলায়েন্স, জার্মানির বস বন্ডও পণ্য তৈরি করছে ওয়ালটন থেকে।