1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
সাউথইস্ট ব্যাংক ও বেঙ্গল গ্লাস ওয়ার্কসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক  শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে কঠোর হতে চাই না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওয়ালটন ডেস্কটপে বিশাল মূল্যহ্রাস, অনলাইন অর্ডারে আরো ১০% ছাড় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি  নারায়ণগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের মিট দ্য বরোয়ার ও গ্রাহক সমাবেশ ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমল আরও ৫ শতাংশ শিক্ষায় কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে: তারেক রহমান এবার ভরিতে ২৯৩৯ টাকা বাড়ল সোনার দাম ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ব্যাংকের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে তদারকিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১
  • ২৩৫ বার দেখা হয়েছে
Bank2

কোন আইন-কানুন দিয়েই ব্যাংকের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ করা যাচ্ছে না। এবার ব্যাংকগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পৃথম দুটি বিভাগ পুনর্গঠন করে নতুন করে তদারকিতে মাঠে নামছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের অনুমোদনক্রমে গত মঙ্গলবার (৪ মে) এ বিষয়ে দুটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিভাগকে পুনর্গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এগুলোকে করা হয়েছে আরও শক্তিশালী। বাড়ানো হয়েছে জনবল ও প্রযুক্তিগত সহায়তা।

কেন্দ্রী ব্যাংকের সূত্র জানায়, বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা জেঁকে বসেছে। এর মধ্যে হলমার্ক গ্রুপের ৪ হাজার কোটি টাকা, ক্রিসেন্ট গ্রুপের ৫ হাজার কোটি টাকা, এ্যানন টেক্স গ্রুপের সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা, বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, সানমুন স্টার গ্রুপের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে।

এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইনি কাঠামো ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে শুরু করে। এরই অংশ হিসাবে এবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রধান দুটি বিভাগকে আরও শক্তিশালী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংক তদারকি ও নীতি প্রণয়নে দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি)। এ বিভাগের কার্যক্রম দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি অংশ নীতি প্রণয়ন করবে। অপর অংশ তদারকি করবে। আগে পুরো বিভাগের দায়িত্বে একজন মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। এখন থাকবেন দুইজন মহাব্যবস্থাপক। অন্যান্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এ বিভাগের ওপর আগে কাজের অনেক বেশি চাপ ছিল। যে কারণে এটিকে ভেঙ্গে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এতে তদারকির পাশাপাশি নীতি প্রনয়নে আরও গতি আসবে।

ব্যাংকগুলোর অনিয়মের ব্যাপারে নিয়মিত পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য আগে চারটি বিভাগ ছিল। এগুলোর দায়িত্বে ছিল ৬ জন মহাব্যবস্থাপক। ওই চারটি বিভাগ বাতিল করে নতুন আটটি বিভাগ গঠন করা হয়েছে। এগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আট জন জিএমকে। এছাড়া অন্যান্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে। এসব বিভাগের ব্যাংকগুলো পরিদর্শনের আওতাও আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। ফলে পরিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলো পরিদর্শনের আরও বেশি ক্ষমতা পাবেন।

সূত্র জানায়, পরিপত্র অনুযায়ী বিভাগগুলোর পুনর্গঠন কাজ এখন চলছে। অচিরেই তারা নতুন পদ্ধতিতে পরিদর্শন ও অন্যান্য তদারকির কার্যক্রম শুরু করবেন। তদারকির নতুন কাঠামোর বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে অবহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ব্যাংক তদারকির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর গুরুত্বপূর্ণ অফসাইট সুপারভিশন বিভাগকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। এতে দক্ষ কর্মকর্তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তদারকিতে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রযুক্তির ব্যবহারও করছে। নতুন কাঠামোতে সংশ্লিস্ট বিভাগগুলোর প্রযুক্তির সক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগকে পুনর্গঠন করেছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ