1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন

‘বাংলাদেশের সাফল্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ওয়ালটন’

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৫ জুন, ২০২১
  • ৩৭৮ বার দেখা হয়েছে
Walton

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহল্টস বলেছেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ণ হয়েছে। বাংলাদেশের এ সাফল্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ওয়ালটন। তারা হাই-কোয়ালিটি পণ্য তৈরি করছে। জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি করছে। ওয়ালটন কারখানার কর্মপরিবেশ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে আমি মুগ্ধ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন ২০২১) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন কনস্টানজা জেরিংগার। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে তারা বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স ও
প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। কারখানা কমপ্লেক্সে জার্মান প্রতিনিধিদলকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, ইউসুফ আলী, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, নির্বাহী পরিচালক আমিন খান, ইয়াসির আল ইমরান, রাকিব উদ্দীন, ওয়ালটনের ইউরোপীয়ান মার্কেট হেড তাওসীফ আল মাহমুদ, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রেজাউল ইসলাম মিনার প্রমুখ।

কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে জার্মান রাষ্ট্রদূত এবং ডেপুটি হেড অব মিশন প্রথমে ওয়ালটন কারখানায় বিশাল কর্মযজ্ঞ এবং জার্মানিতে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি ও কার্যক্রমের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন।

এরপর জার্মান প্রতিনিধিদল ওয়ালটনের বিশ্বমানের রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে যাবেন। পর্যায়ক্রমে অতিথিরা ওয়ালটনের কম্প্রেসর, এলইডি টেলিভিশন উৎপাদন এবং প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখবেন।

জার্মান রাষ্ট্রদূত এবং ডেপুটি হেড অব মিশনের ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনের বিষয়ে তাওসীফ আল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৬০ শতাংশ আসে ইউরোপ থেকে। যার কেন্দ্রে রয়েছে জার্মানি। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস তৈরি পোশাক। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য ইউরোপের বাজারে অন্যতম রপ্তানি খাত হয়ে উঠেছে।

তিনি জানান, ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড, কমপ্ল্যায়েন্স এবং সোশাল রিকোয়ারমেন্ট মেনে পণ্য তৈরি করছে ওয়ালটন। জার্মানিকে কেন্দ্রে রেখে এ খাতে ইউরোপের বাজার টার্গেট করেছে ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানি আয়ের ৫০-৬০ শতাংশ ইউরোপ থেকে আসে। বর্তমানে ইউরোপের ১০টি দেশে ওয়ালটনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। চলতি বছর ইউরোপের আরও ১০টি দেশ ওয়ালটনের রপ্তানির আওতায় আসছে।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, জার্মানিকে ঘিরে ইউরোপে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তারা। ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস পরিচালিত হবে ইউরোপ তথা জার্মানি থেকে। তাদের প্রত্যাশা কারখানা পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বমানের প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন একটি প্রশংসিত নাম। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৭ শতাধিক একর জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানা। আন্তর্জাতিক মান ও স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে এখানে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, লিফটসহ বিভিন্ন উচ্চমানের পণ্য তৈরি হচ্ছে।

উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগ গড়ে উঠেছে।

‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা বুকে নিয়ে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশি পণ্য দিয়ে এবার বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডের কাতারে আসার টার্গেট নিয়েছে বাংলাদেশি এই প্রতিষ্ঠান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ