চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস লিমিটেডের তৈরি করা করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি (ইইউএ) দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। দেশে এ টিকার পরিবেশক ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড।
সিনোভ্যাকের পক্ষে ইনসেপ্টা এ টিকার অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জুন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এ অনুমোদন দেয় বলে সোমবার (৬ জুন) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সিনোভ্যাকের এই টিকা ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের জন্য ব্যাবহার উপযোগী। দুই ডোজের এই টিকার ১ম ডোজের ২ বা ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। এ টিকার সংরক্ষণ তাপমাত্রা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া ৫ম টিকা এটি।
এর আগে করোনা রোধে সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের টিকা এবং ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন (ইইউএ) দেয়া হয়।
সিনোভ্যাকের এ টিকা চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় চীন। এরপর এটি আরও ২২টি দেশে অনুমোদন পায়। ১ জুন টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরীর কাছে সিনোভ্যাকের পক্ষে ইইউএ প্রদানের জন্য ওষুধ প্রশাসনে আবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইনসেপ্টা বিভিন্ন ভ্যাকসিন উৎপাদন করে। ফলে তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক আগে থেকেই সুসম্পর্ক রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে আমরা শুধুমাত্র ইইউএ প্রদানের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন জমা দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেরা এ মুহূর্তে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন উৎপাদন করব না বা ব্যবসায়িকভাবে যুক্ত হয়ে বিক্রির সাথেও জড়িত হবো না। ইইউএ পাওয়ার পর এখন সিনোভ্যাক সরকারের সাথে সরাসরি চুক্তি করে ভ্যাকসিন কিনবে।’