1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংকের লক্ষ্মীপুর শাখা উদ্বোধন বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় সাউথইস্ট ব্যাংক ও বেঙ্গল গ্লাস ওয়ার্কসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক  শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে কঠোর হতে চাই না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওয়ালটন ডেস্কটপে বিশাল মূল্যহ্রাস, অনলাইন অর্ডারে আরো ১০% ছাড় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি  নারায়ণগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের মিট দ্য বরোয়ার ও গ্রাহক সমাবেশ ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমল আরও ৫ শতাংশ শিক্ষায় কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে: তারেক রহমান

দুশ্চিন্তায় পুঁজিবাজারের সাড়ে ১১ হাজার বিনিয়োগকারী

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১
  • ২১০ বার দেখা হয়েছে
stock -markrt-lose

পুঁজিবাজারের সাড়ে ১১ হাজার বিনিয়োগকারী আবারও অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এঁরা সবাই দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত বানকো সিকিউরিটিজের নামের ব্রোকারেজ হাউসের বিনিয়োগকারী।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) থেকে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এ কারণে হাউসটির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসটির বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৬৬ কোটি টাকার ঘাটতি পাওয়া গেছে। তাই ডিএসই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি গত সোমবার রাতে ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ডিএসইসির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) মালিকানার সঙ্গে যুক্ত মোট ছয় পরিচালকের ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য গতকালই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও পুঁজিবাজারের পরিচিত মুখ অধ্যাপক আবু আহমেদ ব্রোকারেজ হাউসটির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে লেনদেন করতেন। ব্রোকারেজ হাউসটিতে আবু আহমেদের নিজের ও আত্মীয়স্বজনের মিলে একাধিক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব ছিল। প্রায় দেড় বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলতে নানা ঝামেলা পোহাতে হয় তাঁকে। তাই আবু আহমেদ ও তাঁর নিকটজনের নামে থাকা একাধিক বিও হিসাবের থাকা নগদ টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠিত এ শিক্ষক। এ অবস্থায় গতকালই তিনি নগদ টাকা ফেরত পেতে ডিএসইর কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। আবু আহমেদ প্রশ্ন তুলেছেন, অনেক দিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ডিএসইও বিষয়টি আগে থেকে জানত। তাহলে শুরুতে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে এত দিন দেরি করা হলো কেন?

অধ্যাপক আবু আহমেদের মতো এ প্রশ্নের উত্তর প্রতিষ্ঠানটির অনেক বিনিয়োগকারীর। যাঁদের প্রতিষ্ঠানটির বিও হিসাবে হয় শেয়ার কেনা আছে, নয়তো শেয়ার বিক্রির নগদ টাকা পড়ে আছে। জানা গেছে, বানকো সিকিউরিটিজের বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১১ হাজার ৪৭৯ জন। গতকাল লেনদেন বন্ধের খবরে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ভিড় করেন। লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হলেও ব্রোকারেজ হাউসটির কার্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে ডিএসই।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন আবদুল মুহিত ও পরিচালক (ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্বে) হিসেবে আছেন শফিউল আজম।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সম্পর্কে এ দুজন মামা–ভাগনে। এ ছাড়া ব্রোকারেজ হাউসটির পরিচালক হিসেবে আছেন আরও চারজন। এঁদের মধ্যে আবদুল মুহিত যুক্তরাজ্যপ্রবাসী, তবে বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দেশে ব্রোকারেজ হাউসটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শফিউল আজম।

এদিকে ব্রোকারেজ হাউসটিতে থাকা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার যাতে স্থানান্তর করা না যায়, সে জন্য বানকো সিকিউরিটিজের ডিপি (ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্ট) কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লেনদেন ও ডিপি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্রোকারেজ হাউসটির কোনো বিনিয়োগকারী গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নিতে পারেননি।

সাধারণত পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউসের (বর্তমানে ট্রেডিং রাইটস এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বা ট্রেক হিসেবে পরিচিত) মাধ্যমে লেনদেনে অংশ নেন। শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগকারীরা তাঁদের পছন্দের বিও হিসাবের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসে টাকা জমা দেন। একটি ব্রোকারেজ হাউসে হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব থাকে। এসব বিও হিসাবে জমা হওয়া টাকা সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস তাদের ব্যাংক হিসাবে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত অর্থ হিসেবে জমা করে। যেহেতু ওই ব্যাংক হিসাব ব্রোকারেজ হাউসের নামে থাকে, তাই সেখানে রাখা বিনিয়োগকারীদের অর্থ তছরুপের সুযোগ থাকে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারের।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ