1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
চিকিৎসার জন্য আজ লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো রাজধানীতে হলো “নিউ ইয়ার, নিউ মিশন’’ সম্মেলন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে বৃক্ষরোপণ  বাণিজ্য মেলায় ইসলামী ব্যাংকের প্রিমিয়ার স্টল উদ্বোধন মোজো এখন বাংলাদেশের ‘১ নম্বর’ বেভারেজ ব্র্যান্ড ১ টাকা কমলো ডিজেল-কেরোসিনের দাম, অপরিবর্তিত অকটেন-পেট্রোল ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার আল্টিমেটাম থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

বিএসইসির সিদ্ধান্তই সরকারের সিদ্ধান্ত: অর্থমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২২৮ বার দেখা হয়েছে
mustafa-kamal

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিদ্ধান্তই সরকারের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও নির্দিষ্ট আইন-কানুন রয়েছে। বিএসইসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে ডিভিডেন্ডের বিষয়গুলো ফয়সালা করবে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ২৫তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ৩১তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ব্যাংকগুলো বোনাস ডিভিডেন্ড দিবে, না কি ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিবে। বিষয়টি বিএসইসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক আইন অনুযায়ী যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।

এর আগে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) টেকসেই ও স্থিতিশীল শেয়ারবাজারের জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ গঠন করে। তবে এই ফান্ডে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবন্ঠিত ডিভিডেন্ডের অর্থ দিতে দ্বিমত পোষন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার দেশের আর্থিক খাতের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে এই দাবী উপস্থাপন করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। তবে এই বিষয়ে সব পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে ভালো সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করছে বিএসইসি।

গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ চারজন ডেপুটি গভর্নর, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন আহমেদ, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (ইডরা) চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন, এনজিও নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্র্যাডিট রেগুলেটরি অথরিটি(এমআরএ) প্রতিনিধি, বিটিআরসি প্রতিনিধি, সমবায় অধিদফতরের প্রতিনিধি, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্টস্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসসহ (আরজেএসসি) প্রতিনিধিসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান ও তাদের প্রতিনিধিরা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএসইসির অনেক রেগুলেশন কোম্পানি আইন ও ব্যাংক কোম্পানি আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। ফলে ওই জায়গায় বিএসইসির আইন পরিপালন করতে পারবে না ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ এদের প্রধান রেগুলেটর হলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অভিযোগ বিএসইসির রেগুলেশন অনুযায়ী পুঞ্জিভূত লোকসানি প্রতিষ্ঠান বর্তমান বছরের আয় দিয়ে ডিভিডেন্ড দিতে পারবে। কিন্তু ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী তারা ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না।

অন্যদিকে শেয়ারবাজারের সার্বিক উন্নয়নকে সামনে রেখে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর শিবলী কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য বিশেষ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। তবে এই ফান্ডে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড দিতে নারাজ বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের ভাষায় এটি গ্রাহকদের আমানত। ফলে গ্রাহকদের আমানত রক্ষায় তারা বদ্ধ পরিকর। বিষয়টি চলতি বছরের ১৬ জুন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজকে (বিএপিএলসি) চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিএসইসি বলছে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে শেয়ারবাজারকে গতিশীল করা প্রয়োজন। ফলে বিএসইসির আইনকে বাস্তবায়ন করার জন্য সকল রেগুলেটরদের সহযোগিতা চায় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এদিকে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে ডিভিডেন্ড হলো বিনিয়োগকারীদের, আমানতকারীদের নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক মৌলিক এই বিষয়টি গুলিয়ে ফেলছে। ডিভিডেন্ড হলো বিনিয়োগকারীদেরই অধিকার। আমানতকারীদের অধিকার হলো নির্ধারিত সুদ। প্রতিষ্ঠান কেবল মুনাফা করলেও বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড পায়। কিন্তু আমানতকারীরা প্রতিষ্ঠানের মুনাফা হলেও নির্ধারিত সুদ পায়, লোকসান হলেও সুদ পায়। সুতরাং ডিভিডেন্ড হলো কেবলই বিনিয়োগকারীদের। সেই ডিভিডেন্ডের অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই ব্যবহ্নত হবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গাত্রদাহ হওয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ