1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
হেডলাইন :
বিমানের ওয়েব টিকেটিংয়ে নতুন পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে যুক্ত হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল অঞ্চলের বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল জনতা ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত অবকাঠামো উন্নয়নে এডিবির সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি ছয় মাসের মধ্যে পুরনো গাড়ি অপসারণ: উপদেষ্টা রিজওয়ানা বাজার নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার: প্রেস সচিব মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন চার দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগামী জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে: গভর্নর

দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় পেছালো

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৯৫ বার দেখা হয়েছে
asami

বিচারক অসুস্থ থাকায় রাজধানীর বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার রায় পিছিয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য এখন পর্যন্ত নতুন কোনো তারিখ ধার্য করেননি আদালত।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার মো. ইলিয়াস।

ধর্ষণের ওই ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে রায় ঘোষণার কথা ছিল।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে এদিন জামিনে থাকা পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় মোট ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ওই বছরের ১৩ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শফিউল আজম পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন।

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার অন্য তিন আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধেও একই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। সেখানে বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ওই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়।

পরে সাফাত তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দুই শিক্ষার্থীকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানালে তারা সম্মত হন। আমন্ত্রণ জানানোর সময় তাদের বলা হয়েছিল, বড় অনুষ্ঠান হবে, অনেক লোকজন থাকবে। ঘটনার রাতে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী দুই শিক্ষার্থীকে বনানীর ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা অন্য কোনো লোকজন দেখতে পাননি।

তবে অন্য দুই তরুণীকে সাফাত ও নাঈম হোটেলের ছাদ থেকে নিচে নিয়ে যেতে দেখতে পান তারা। কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না দেখে তারা চলে যেতে চাইলেও আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেন। পরে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে বাদী ও তার বান্ধবীকে হোটেলের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামিরা। এসময় সাফাত তার গাড়িচালককে ধর্ষণের মুহূর্ত ভিডিও ধারণ করতে বলেন। বাদীকে মারধর করেন নাঈম আশরাফ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ