ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে শেয়ারবাজার থেকে প্রিমিয়ামসহ ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে রিজেন্ট টেক্সটাইল। যা ব্যবহারের জন্য কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। অবশেষে সেই অর্থ ব্যবহারের পরে লোকসানে নেমেছে কোম্পানিটি। অথচ মুনাফা বাড়াটা ছিল স্বাভাবিক।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রিজেন্ট টেক্সটাইল আইপিওতে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা (১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ) দরে ইস্যুর মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। যা ব্যবহারের জন্য ১৭ মাস বা ২০১৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষেও ৪৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ৩৬ শতাংশ অব্যবহৃত থাকে। যা ব্যবহারের জন্য কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পরে গত বছরের নভেম্বরে শেষ হয়েছে।
এতে করে কোম্পানির ব্যবসা বড় এবং মুনাফা হওয়াটা স্বাভাবিক হলেও ২০২০-২১ অর্থবছরে লোকসান গুণছে। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ১.৬২ টাকা করে মোট ২০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
ব্যবসায় এই পতনের কারনে ওই বছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজেন্ট টেক্সটাইলের পর্ষদ।
এই কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।
১২৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের রিজেন্ট টেক্সটাইলে ১৬১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার (২১ নভেম্বর) লেনদেন শেষে ২৫ টাকা ইস্যু মূল্যের রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর দাড়াঁয় ১১ টাকায়। তবে সোমবার সকাল ১.২০ টাকা বা ১০.৯১% কমে ৯.৮০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।y