আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সশরীরে পাঠদান শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। ২১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নতুন করে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর আরও দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা না থাকায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এখনও টিকার আওতায় আনা যায়নি। তবে এরই মধ্যে ১২ এর কম বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেখছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলে তাদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।
দীপু মনি বলেন, সংক্রমণ দ্রুত নিচের দিকে নামছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তাই আমরা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করব। ২২ ফেব্রুয়ারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ১০ দিন বা দুই সপ্তাহ পর আমরা প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারব বলে আশা করছি।
এর আগে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, করোনা সংক্রমণের হার কমছে। এটা ভালো খবর। আমরা আশা করছি, এই হার আরও কমবে৷ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন আর যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য শ্রেণি কক্ষে পাঠদান বন্ধ আছে। আশা করছি সেটা আর বাড়াতে হবে না।