বন্ধ বেনিশিফিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব থেকে বিদেশীদের শেয়ার বিক্রিতে বেআইনিভাবে সহযোগিতা করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সূত্র মতে, চার বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদেশী বিনিয়োগকারী বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসির শেয়ার কাস্টডিয়ান হিসাবে রক্ষিত রয়েছে। এই বিও হিসাব থেকেই বুধবার (১১ মে) বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এ ঘটনাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে বিএসইসি।
একারণে বিও হিসাব পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি। এইচএসবিসির কাছেও ব্যাখ্যা তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ হাউসে রক্ষিত একটি বিও হিসাব থেকে বুধবার ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার সমমূল্যের তিনটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়। কোম্পানি তিনটি হলো- গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি) ও স্কয়ার ফার্মা। ওই বিও হিসাবটি ২০১৮ সালের জুনে বন্ধ হয়ে গেছে। কীভাবে ‘বন্ধ বিও’ থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করা হলো, তা নিয়ে বিএসইসি খতিয়ে দেখছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধানে জেনেছি, বন্ধ বিও হিসাব থেকে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলো শেয়ারবাজারে সূচকের পতনে বড় ভূমিকা রাখে। কীভাবে বন্ধ বিও থেকে শেয়ার বিক্রি করা হলো, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছ থেকে ব্যাখ্যা ও তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’