1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
সাউথইস্ট ব্যাংক ও বেঙ্গল গ্লাস ওয়ার্কসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক  শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে কঠোর হতে চাই না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওয়ালটন ডেস্কটপে বিশাল মূল্যহ্রাস, অনলাইন অর্ডারে আরো ১০% ছাড় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি  নারায়ণগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের মিট দ্য বরোয়ার ও গ্রাহক সমাবেশ ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমল আরও ৫ শতাংশ শিক্ষায় কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে: তারেক রহমান এবার ভরিতে ২৯৩৯ টাকা বাড়ল সোনার দাম ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবসায় দিকনির্দেশনা দেন ওয়ালটন সিইও

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২
  • ২৫৫ বার দেখা হয়েছে

হেড কোয়ার্টারে ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড রেফ্রিজারেশন ডে উদযাপন করলেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। সে সময় তিনি প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির আইওটি বেজড আপকামিং মডেলের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়ালটন সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন সিইও গোলাম মুর্শেদ।

রোববার (২৬ জুন, ২০২২) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে পৌঁছে প্রথমেই বেলুন উড়িয়ে ওয়ার্ল্ড রেফ্রিজারেশন ডে’র সূচনা করেন গোলাম মুর্শেদ। পরে তিনি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই), মানবসম্পদ, মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন। তিনি প্রোডাকশন প্ল্যান্টে কর্মরত ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনিদের্শনা দেন।

ওয়ালটন সিইও বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্ব একটি কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে, তখন বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক সংকট এ পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্য এবং পরিবহন ব্যয় অনেক বেড়েছে। এদিকে, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যায় সিলেট বিভাগে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসায়। তবে, খুব শিগগিরই এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আমরা আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগ চমৎকার কাজ করছে। প্রোডাকশন প্ল্যান্টে আইওটিবেজড প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন চলছে। খুব শিগগিরই আমরা ক্রেতাদের হাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজাইনের অভিজাত মডেলের পণ্য তুলে দিতে পারব। ক্রেতাদের জন্য আমরা ব্যাপক চমক নিয়ে আসছি।’

রেফ্রিজারেশন দিবস উদযাপন বিষয়ে ওয়ালটন সিইও বলেন, ‘শিল্প খাতে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে, যা আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না। কারণ, দিন দিন বৈশ্বিক উষ্ণায়ন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যখন একটা প্রোডাক্ট ডেভেলপ করি, তখন পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই তা ডেভেলপ করি। আমাদের সব কাজে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।’

হেড কোয়ার্টারে ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ

ওয়ালটনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী বিশ্ব আমাদের রেখে যেতে হবে। এটাই সাসটেইনেবিলিটি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি লক্ষ্য যেন আমরা নিজেদের মধ্যে ধারণ করি। আমরা যখন কোনো কাজ করি, তখন মনে রাখতে হবে, ওই ১৭টি লক্ষ্যের সঙ্গে আমি কোনো না কোনোভাবে সংযুক্ত। তাই, এসডিজির গোলগুলোর সঙ্গে নিজেদের একীভূত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্বশীলতা বড় একটি বিষয়। আমরা যেখানেই কাজ করি না কেন, দ্বায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে। কাজটিকে ধারণ করতে হবে। আমাদের চিন্তা-ভাবনা ও কাজ যেন স্বচ্ছ থাকে এবং তা ভবিষ্যতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। যেখানেই যে কাজ করি না কেন, তা যেন মানুষের মঙ্গলজনক হয়, তাদের কাজে লাগে। আজকে আমরা যে ইনোভেশন করছি, তা ১০ বা ২০ বছর পর মানুষের জন্য কতটুকু উপকারী হবে, সে বিষয়টিতে যেন আমরা গুরুত্ব দেই। আমাদের প্রতিটি পণ্য যেন দীর্ঘ সময়ের জন্য সাসটেইনেবল হয়।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটনের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মগ ইয়াং, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, তানভীর রহমান, তাপস কুমার মজুমদার, ইউসুফ আলী, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, ইয়াসির আল ইমরান, নিজাম উদ্দীন মজুমদার, মোহসিন সরদার, মাহফুজুর রহমান, তাহসিনুল হক ও শাহিনূর সুলতানা, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তোফায়েল আহমেদ, শাহজালাল হোসেন লিমন, আব্দুল মালেক শিকদার, দিদারুল আলম খান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের এপ্রিলে সারা বিশ্বের ব্যবসায়িক সংগঠন এবং উদ্যেক্তারা ২৬ জুন বিশ্ব রেফ্রিজারেশন দিবস পালনের বিষয়ে একমত হয়। প্রতি বছর নানান আয়োজনে দিবসটি পালন করে আসছে ওয়ালটন। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থার (ইউএনইপি) ওজোন অ্যাকশন বিভাগ রেফ্রিজারেশন দিবস পালনে সমর্থন দেয়। চলতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কুলিং ম্যাটারস’।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ