বছর ঘুরে আবারও এলো ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার রঙে নিজেদের সম্পর্কটি আরেকটু রঙিন করার দিন এটি। এই দিনটি নিয়ে বেশিরভাগ প্রেমিক/প্রেমিকার নানা পরিকল্পনা থাকে। থাকে একজন অপরজনকে উপহার দিয়ে চমকে দেয়ার চেষ্টা। তবে দুঃখের বিষয় হলো সব বছরের উপহারগুলোই গতানুগতিক হয়ে যায়। তাই ভালোবাসার উদযাপনে আনতে পারেন নতুনত্ব-
বুদ্ধি খাটিয়ে উপহার দিন:
ঘড়ি, পারফিউম, কফি কাপ তো অনেক দেয়া হলো, এবছর একটু চিন্তা-ভাবনা করে উপহারটি দিন। টবে লাগানো ছোট্ট একটি গাছ উপহার দিতে পারেন। কিংবা তার প্রিয় গানগুলোর একটি সিডি তৈরি করে দিন। আপনাদের পছন্দের ছবিগুলো দিয়ে একটি অ্যালবাম বা একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এমনকিছু দিন, যা তার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকে।
ভালোবাসার মানুষকে সময় দিন:
ভালোবাসার এই দিনে আপনার প্রিয় মানুষটিকে সময় দিন। এই দিনটা শুধু তার আর আপনার জন্য নির্ধারণ করুন। কোন ঐতিহ্যবাহী বা প্রাকৃতিক স্থানে ঘুরে আসতে পারেন এই দিনটিতে। ভ্রমনে গেলে মন সতেজ হয়ে যায়, একঘেয়েমি দূর হয়, টেনশন দূর হয় , মন ভাল থাকে, কাজে মন বসে। প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে প্রান খুলে কথা বলুন, হাসুন। এতে করে আপনার ঘুরাও হল , মনও ভাল হল এবং প্রিয় মানুষটিকে খুশি করাও হল। দেখবেন সে অনেক খুশি হবে অতিতের সকল দুঃখ ভুলে আপনাকে প্রচুর ভালবাসবে। আর এটার জন্য ভ্যালেন্টাইনস ডে বেছে নিতে পারেন।
আকর্ষণীয় পোশাক পরিধান করুন:
আকর্ষণীয় পোশাক মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ায় এবং মনকে করে ফুরফুরে। ধরুন এই বিশেষ দিনে আপনি কোন রেস্টুরেন্টে বা বাহিরে কোথাও বেড়াতে গেলেন তবে অবশ্যই আপনার পরিপাটির দিকে নজর রাখতে হবে। সুন্দর, আকর্ষণীয় পোশাক এবং সাজগোজ আপনাকে সকলের থেকে আলাদা করে তুলে। আর ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষের সাথে ঘুরতে যাওয়া বলে কথা সেই ক্ষেত্রে আপনাকে প্রিয় মানুষের কাছে উপস্থাপন করার জন্য সুন্দর দেখানোটা আবশ্যক।
ভিড় এড়িয়ে চলুন:
ভালোবাসা দিবসে সব জায়গাতেই ভিড় বেড়ে যায়। শহরজুড়ে তো আর কাপলের অভাব নেই! সেই ভিড়ে আপনারাও মিশে গেলে খেই হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাই এড়িয়ে চলুন সিনেমা হল, নামী রেস্টুরেন্ট, শহরের পরিচিত বেড়ানোর জায়গাগুলো। বরং শহর থেকে একটু দূরে বেড়াতে চলে যেতে পারেন। নদীর পাড় ধরে হেঁটে বেড়ানো কিংবা গ্রামীণ পথ ধরে ছুটে চলতে অন্য রকম আনন্দ হবে।
নিজের হাতেই কার্ড বানিয়ে দিন:
মেসেজে কিংবা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নয়, এবারের ভালোবাসা দিবস স্মরণীয় করে রাখতে নিজের হাতেই তৈরি করে ফেলুন একটি কার্ড। তাতে নিজের সৃজনশীলতা তো প্রকাশ পাবেই, পাশাপাশি নিজের মনেও কথাটিও সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারবেন। উপহারের ভেতরে থাকুক আন্তরিকতার স্পর্শও।
রান্না করে চমকে দিন:
রেস্টুরেন্টে তো সারা বছরই খাওয়া হয়। সেখানকার খাবার যত সুস্বাদুই হোক না কেন, আন্তরিকতার ছোঁয়া সেভাবে পাওয়া যায় না যেভাবে ঘরে তৈরি খাবারে থাকে। তাই রেসিপি শিখে নিয়ে নিজেই তৈরি করে ফেলুন প্রিয় মানুষটির পছন্দের খাবার। তাতে রেস্টুরেন্টে ভিড়-ভাট্টায় যেতে হবে না, বরং যে সময়টুকু বেঁচে যাবে, তা নিজেদের মতো করে কাটাতে পারবেন। রান্না করতে যদি পছন্দ নাও করেন, তবু কিছু একটা তৈরি করে ফেলুন। আপনার হাতের তৈরি যেকোনো খাবারই তার কাছে অমৃতসম মনে হবে।
বাংলার কন্ঠ/ আনিচ