1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা চিকিৎসার জন্য আজ লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো রাজধানীতে হলো “নিউ ইয়ার, নিউ মিশন’’ সম্মেলন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে বৃক্ষরোপণ  বাণিজ্য মেলায় ইসলামী ব্যাংকের প্রিমিয়ার স্টল উদ্বোধন মোজো এখন বাংলাদেশের ‘১ নম্বর’ বেভারেজ ব্র্যান্ড ১ টাকা কমলো ডিজেল-কেরোসিনের দাম, অপরিবর্তিত অকটেন-পেট্রোল ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার আল্টিমেটাম থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

অপব্যবহার অভিযোগে আমান কটনের এফডিআর লেনদেন বন্ধ

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১১১ বার দেখা হয়েছে

নানা প্রয়োজনে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে। ওই অর্থ সংগ্রহের পর যেসব খাতে তা ব্যবহার করবে তার পূর্ব ঘোষিত একটি ছক (নমুনা) দেওয়া থাকে। মূলত সেই ছকের তথ্যের ওপরে নির্ভর করে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দেয় শেয়ারবাজারের রেগুলেটরা। কিন্তু অনেক কোম্পানি আছে, যারা তাদের পূর্ব ঘোষিত তথ্যের পথে হাতে না। এমনকি রেগুলেটরদের না জানিয়ে নিয়মের বাইরে গিয়ে ইচ্ছা মতো আইপিও অর্থ ব্যবহার করে। এমনি এক অভিযোগ ওঠেছে আমান কটন ফাইব্রাসের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ ওঠেছে, কোম্পানিটি আইপিও মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ কাজে না লাগিয়ে এফডিআর করেছে। যা আমান গ্রুপের অন্য কোম্পানির নামে ঋণ হিসেবে রয়েছে। এটি পুরোপুরি বিএসইসির নিয়ম ভঙ্গ হিসেবে গন্য। সাধারনত কোম্পানির উন্নয়ন, ব্যবসা সম্প্রসারন, মজুদপন্য, ঋন ইত্যাদি কারনে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ অনুমোদন পেয়ে থাকে। শুধু এফডিআর করে মুনাফা নেওয়ার ক্ষেত্রে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয় না। তবে অর্থ সংগ্রহের পর কোন কারনে বিলম্ব হলে এফডিআর করা যেতে পারে, স্বল্প সময়ের জন্য। এক্ষেত্রে বিএসইসিকে জানানোর নিয়ম রয়েছে। তেমনি আমান কটন ফাইব্রাসের আইপিওর অর্থ এফডিআর খাতে ব্যবহার করছে। যা আইপিওর অর্থ অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি )।

তাই আইপিওর অর্থ অপব্যবহার বন্ধে আমান কটন ফাইব্রাসের এফডিআরের বিপরীতে নেওয়া ঋণের লেনদেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকে থাকা কোম্পানিটির এফডিআরের লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। সম্প্রতি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ব্যাংকটিকে দেওয়া বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, আমান কটন ফাইব্রাস আইপিওর মাধ‌্যমে উত্তোলন করা ৭৩ কোটি টাকা দিয়ে একটি এফডিআর করেছে। এবিষয়টি তদন্তে বিএসইসি গত ২৯ মার্চ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মে আমান কটনকে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে আইপিওর মাধ্যমে ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহের কমিশন অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি প্রসপেক্টাসে উল্লিখিত আইপিওর টাকা ব্যবহারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ কোটি টাকাও ব্যবহার করেনি। বরং আইপিওর ৭৩ কোটি টাকা কোম্পানিটি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে এফডিআর হিসাবে জমা রেখেছে। যা আমান ফুডস লিমিটেড এবং আকিন ক্যারিয়ার লিমিটেডের অনুকূলে ঋণ প্রদানের জন্য এফডিআরের অধীনে লিয়েন বা জামানত করে রাখা হয়েছে। এতে আমান কটন আইপিও আয়ের অপব্যবহার করেছে। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২সিসি এর অধীনে আইপিওর সম্মতিপত্রের শর্ত লঙ্ঘন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এবিষয়ে তদন্ত কমিটি দ্বারা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংককে কমিশনের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমান কটন ফাইব্রাসের নামে জমা থাকা এফডিআর হিসেবে ঋণের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হলো। এই চিঠি জারির তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

গত বছরের ১৩ জানুয়ারি বিএসইসির কমিশনের ৮০৭তম সভায় আমান কটন ফাইব্রাসের চেয়্যারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুর ইসলাম, পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম এবং পরিচালক মো. তরিকুল ইসলামকে ৩ কোটি টাকা করে মোট ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। প্রত্যেক পরিচালককে জরিমানা ছাড়াও ৭৩ কোটি টাকা স্থায়ী আমানতের লিয়েন বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া সভায় আমান কটনের নিরীক্ষক এটিএ খান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টসকে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের কারণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ধারা ১৮ অনুযায়ী ১০ লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় আমান কটন ফাইব্রাস। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৪৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। গতকাল সোমবার ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার ২৬ দশমিক ৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ