বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেটের ঋণ সহায়তা হিসেবে ৫০৭ মিলিয়ন ঋণ পেয়েছে। আজ তা রিজার্ভে যোগ হয়েছে। বুধবার ( ১০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
তিনি জানান, আমরা যেসব ঋণদাতা সংস্থাগুলো থেকে ঋণ চেয়েছি ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের একটি কিস্তি রিজার্ভে যোগ হয়েছে। যার ফলে রিজার্ভ বেড়ে ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নতি হয়েছে।
যদিও একদিন আগে রিজার্ভের কমে ২৯.৭৮ বিলিয়ন ডলার ছিলো। কারণ গত সোমবার ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আকু বিল পরিশোধের পর ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
মুখপাত্র বলেন, আমরা বিশ্বের যে সংস্থাগুলো থেকে ঋণ সহায়তা চেয়েছি ইতিমধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তা পেয়েছি। এখনো যে সমস্ত সংস্থাগুলো থেকে আমরা ঋণ সহায়তা পাইনি তবে আশাবাদী খুব শীগ্রই আমরা তাদের থেকে ঋণ সহায়তা পাব। এসব সহায়তা পেলে আগামী জুনের মধ্যে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নতি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২০ সালে ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ওই সময় কভিড মহামারিতে পুরো বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ে, যার ফলে প্রবাসী আয় বৈধপথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসে। আবার আমদানিও কমে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ বেড়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। তবে সে স্বস্তি বেশি দিন থাকেনি। গত বছর থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমছে রিজার্ভ। চলতি মাসে তা সাত বছরে সর্বনিন্ম অবস্থানে চলে আসে।