বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক: বি.ব্রাদার্স কোম্পানির আইপিও বাতিল করে দিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। বাতিল করার পরও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নরসিংদী ৩ আসনের এমপি জহিরুল হক ভুইয়া মোহন ক্ষমতার অপব্যবহার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে নতুন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে গত ১২ জুলাই বিএসইসি কোম্পানির জমি ও ট্যাক্স সংক্রান্ত অনিয়মের কারণে আইপিও প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে। কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার বেশি প্লেসমেন্ট বিক্রি করা বিনেয়াগকারীরা পড়েছে বিপাকে। কোম্পানি এসব বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা বলেও প্লে সমেন্ট বিক্রি করেছে। কোম্পানির এসব প্লেসমেন্ট বিক্রি করেছে ফরিদ আহমেদ, শেয়ারবাজারে নিষিদ্ধ এনআরবি ইক্যুইটির সাবেক কর্মকর্তা কাজী সাইফুর রহমান ও মতিন সাহেবরা।
জানা যায়, মাত্র ৩০ শতাংশ শেয়ার পরিচালকদের কাছে রেখে বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছিলবি ব্রাদার্স গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নরসিংদী ৩ আসনের এমপি জহিরুল হক ভুইয়া মোহন নিজের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিচয় ব্যবহার করে কমিশনকে দিয়ে আইপিও অনুমোদন করিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও নানা অনিয়মের কারণে তা আটকে যায়। তবে এবার ভিন্ন কৌশলে আবারও তালিকাভুক্ত হতে চায় কোম্পানিটি।
জানা যায়, বর্তমানে ৯০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের মধ্যে মাত্র ৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকার মালিকানা উদ্যোক্তা/পরিচালকদের হাতে রয়েছে। যাদের মালিকানা আইপিও পরবর্তীতে হবে মাত্র ৩০.২২ শতাংশ।
এদিকে বি.ব্রাদার্স প্রিমিয়াম পাওয়ার যোগ্য হলেও শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ারবাজারে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার পদ্ধতিতে শেয়ারপ্রতি ২৩.৩১ টাকা পাওয়ার যোগ্য বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রায় ২৫ বছরের ব্যবসায় কোম্পানিটির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা পরিশ্রম করে এই দরের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তবে কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করবে। কিন্তু একটি কোম্পানির সমস্যা থাকলেই শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে আসতে চায় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এই বিষয়টিও নেতিবাচকভাবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বাংলারকন্ঠ/আর