1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তানীদের উড়িয়ে দিল লাল-সবুজের বাংলাদেশ

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৫ বার দেখা হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ফারজানা হক-মুর্শিদা খাতুনের দুর্দান্ত ব্যাটিং হাতছানি দিচ্ছিল ১০ উইকেটের বড় জয়। ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি গড়ে দুজন এগোচ্ছিলেন সেদিকেই। কিন্তু না, তা হয়নি। দুই ওভারের ব্যবধানে দুজনই ফেরেন সাজঘরে। তাতে অবশ্য বাংলাদেশের জয়ে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।

উইকেট বিবেচনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ৬ উইকেটে। এবার ঘরের মাঠে তাদের হারিয়েছে ৭ উইকেটে। সঙ্গে আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়শিপে প্রথম সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৬৬ রান করে পাকিস্তান। তাড়া করতে নেমে ২৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এই জয়ে আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১২ ম্যাচে তিন জয়ে অষ্টম স্থানে আছে বাংলাদেশ।

জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া ফারজানা-মুর্শিদার জুটি থেকে আসে ১২৫ রান। ওপেনিংয়ে এটি সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১১ সালে, ১১৩ রান। ৬২ রানে ফারজানার আউটে ভাঙে এই জুটি। ১১৩ বলে ৫টি চারের মারে এই রান করেন তিনি। ৯০ বলে দেখা পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের দশম ফিফটির।

ফারজানার আউটের দুই ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন তার ওপেনিং পার্টনার মুর্শিদাও। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৬ বলে ৫৪ রান। ৮৮ বলে দেখা পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটির। তার আউটের পরপরই রানআউটে ফেরেন ফাহিমা খাতুন। এরপর ম্যাচ শেষ করে আসেন জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি। জ্যোতি ১৮ ও সোবহানা ১৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। পাকিস্তানের হয়ে দুই উইকেট নেন নাশরা সিন্ধু।

এর আগে পাকিস্তান দারুণ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। তবে একাই লড়েছেন সিদরা আমিন। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে পাকিস্তান।।

সিদরার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৮৪ রান। ১৪৩ বলে ৩টি চারের মারে এই রান করেন সিদরা। ফিফটি করেন ৯৬ বলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে সাদাফ শামসের ব্যাট থেকে। ১৪ রান করেন মুনিবা আলী। আর কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। ২ উইকেট নেন রাবেয়া খান। ১টি করে উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন, নিশিতা আক্তার নিশি ও স্বর্ণা আক্তার।

তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা থাকায় আজকের ম্যাচটি দাঁড়ায় অলিখিত ফাইনালে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে জিতে সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আজ তাদের হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিলেন জ্যোতিরা। এর আগে ভারতের বিপক্ষে এই মিরপুরে সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ