1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ন

জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের আহ্বান

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৯৬ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সঙ্কট থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে বাঁচাতে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে ২০২৫ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আসন্ন জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন ‘কনফারেন্স অব পার্টিস (কপ)-২৮’-এ বাংলাদেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সম্ভাবনা নিয়ে দিনব্যাপী ‘মাল্টি স্টেকহোল্ডার কপ-২৮ প্রস্তুতি কর্মশালা’তে এ মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম এ কর্মশালার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ফসিল ফুয়েলের (জীবাশ্ম জ্বালানি) ব্যবহার থেকে সরে আসর ক্ষেত্রে আমরা যদি ঐক্যমত হতে না পারি, তাহলে আমাদের জলবায়ু অভিযোজনের ওপর বিশাল প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যে দেখেছি, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিতে আমাদের ওপর জলবায়ুজনিত কতটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি বছরই আমাদের অভিযোজন খরচ বাড়ছে। গত বছর আমরা ৩.৪ মিলিয়ন ডলার আমরা নিজেদের থেকে দিয়েছি। এটি প্রতি বছরই বাড়ছে। এছাড়া, আমরা জলবায়ু তহবিলের কথা বলি। জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলারের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশ পাবে। কিন্তু, এই সংখ্যাটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, এটাকে বিজ্ঞানসম্মত করে নির্ধারণ করা জরুরি।’

জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে কর্মশালায় চারটি আলাদা আলাদা সেশনে কার্বন ট্যাক্স, জলবায়ু অর্থনীতি, জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন, বৈশ্বিক স্টকটেকিং, জীবাশ্ম জ্বালানি যুগ বাতিল করা, বিকল্প ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা (জাস্ট এনার্জি ট্রাঞ্জিশন), চ্যালেঞ্জ ও করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। যেখানে কপ-২৮ কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি কপ ২৮-এ বাংলাদেশের অগ্রাধিকার, পরিকল্পনা, জীবাশ্ম জ্বালানি ফেজ আউট, বিকল্প জ্বালানি বা জাস্ট এনার্জি ট্রানিশনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন এনজিও এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কপ ২৮-এ সরকারের সহায়ক হিসেবে এই প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদীক আহমেদসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠান আয়োজনে অক্সফাম ইন বাংলাদেশের সঙ্গে ছিল ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়া (কানসা) এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ