নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে সর্বশেষ জনকেও বাঁচানো গেল না।
ঢামেকের নবজাতক নিবিড় যত্ন ইউনিটে (এনআইসিইউ) প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে কন্যা শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির নবজাতক বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার সাবিহা সুলতানা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু, তাকে বাঁচাতে পারিনি।’
গত ১২ অক্টোবর ঢামেক হাসপাতালের হাসপাতালের গাইনি বিভাগে অস্ত্রোপচার ছাড়াই একে একে পাঁচ শিশুর জন্ম দেন মানসুরা বেগম (২২)। তিনি নরসিংদী শিবপুর উপজেলার বান্দারদিয়া গ্রামের অটোরিকশার চালক মামুনের স্ত্রী। বিয়ের দুই বছর পর প্রথমবার সন্তান জন্ম দেন মানসুরা বেগম। পাঁচ শিশুই মাত্র ২৬ সপ্তাহ বয়সে জন্ম নিয়েছিল। অপরিপক্ক হওয়ায় তাদের ওজন ছিল কম।
সাবিহা সুলতানা জানিয়েছেন, জন্মের পরপরই এক কন্যা সন্তান মারা যায়। অপরিপক্ক হওয়ায় অন্যদের অবস্থাও ভালো ছিল না। পাঁচজনের মধ্যে একজনের ওজন ছিল এক কেজি। বাকিদের ছিল তারও কম।
জন্মের পরেই এক শিশুর মৃত্যু হলে বাকিদের এনআইসিইউতে ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছিল। পরে তিন শিশু মারা যায়। বেঁচে থাকা সর্বশেষ শিশুটিকেও বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা।