ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে নৌকার টিকিট পাননি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অন্যদিকে, জামালপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের ফরম কিনেও ডা. মুরাদ হাসান মনোনয়ন পাননি। মাহির আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান আর মুরাদের আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল। আ.লীগের মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিবার্চনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে মনোনয়ন ঘোষণার আগে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
আজ দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মুরাদের নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোখলেছুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪১ জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ি আসনে রোববার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রথম একটি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। আট হাজার টাকা ব্যাংক চালান দিয়ে নির্বাচন অফিস থেকে মুরাদ হাসানের পক্ষে এটি সংগ্রহ করেন মোখলেছুর রহমান নামে এক ব্যক্তি।
মোখলেছুর রহমান জানান, সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন ফরম কেনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার পক্ষে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করা হয়েছে। আমাকে জানিয়েই মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে।
এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এরপর ২০ নভেম্বর বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজির হয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি।
২০২২ সালে এই একই আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাহি। সেবারও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানকে।
অন্যদিকে, ২০২১ সালে চিত্রনায়িকা মাহিকে নিয়ে ফোনালাপ ফাঁসকে কেন্দ্র করে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েন মুরাদ হাসান। ওই ফোনালাপে অশ্লীল ভাষায় মাহিয়া মাহিকে দেখা করার জন্য বাধ্য করতে শোনা যায় তাকে। পরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ নানা বিতর্কে জড়িয়ে দলছুট হয়ে পড়েন। যে কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া অনেকটা জটিল হয়ে পড়ে। এ কারণে দলীয় মনোনয়নযুদ্ধে হেরে যান তিনি।
জামালপুরের একটি আসন থেকে ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। ২০১৯ সালে দায়িত্ব পান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর। তার ভাই হাইকোর্টের বিচারপতি। সব থাকলেও শুধু অশালীন শব্দচয়ন ও আচরণে সমস্তকিছু হারিয়েছেন তিনি।