জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে এই প্রথম আয়োজন করা হলো শিশুদের তৈরি শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। মোবাইল গেমে যেখানে বাচ্চারা বুঁদ হয়ে রয়েছে, সেখানে সত্যিই মেধাভিত্তিক এমন আয়োজন ব্যতিক্রমী।
তাও আবার কোমলমতি শিশুদের। এমন আয়োজনে বাচ্চারা যেমন খুশি তেমনি অবিভাবকরাও শিশুদের এমন ভিন্নধর্মী সৃষ্টিশীল কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় অভিভূত।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দিনব্যাপী শহরের চারুগৃহ শিশুস্বর্গ স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের তৈরি নানা শিল্পকর্ম ও আঁকা ছবির প্রদর্শন করা হয়।
প্রধান অতিথি সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. বি এম রেজাউল করিম বলেন, সৃষ্টিশীলতা সবসময়ই মানুষকে প্রগতিশীল করে তোলে। তাও যদি এ ধরনের সুযোগ শিশু বয়সে আসে। নিজের সুপ্ত প্রতিভা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ সচরাচর দেখাই যাই না। মফস্বল শহরে তো হয়ই না। এমন মেধা বিকাশের সুযোগ পেয়ে সবাই ঝাপিয়ে পড়েছে নানা সৃষ্টিশীল হাতের তৈরি কাজ নিয়ে।
অভিভাবক কানিজ আফরোজা বুলবুল বলেন, ঝিনাইদহে এ ধরনের আয়োজন প্রথমবার। কোমলমতি শিশুদের তৈরি নানা শিল্পকর্ম দেখে অভিভূত অবিভাবকরা। যেখানে বাচ্চারা সবসময় মোবাইলে গেম বা ক্ষতিকর বিষয়ে বুঁদ হয়ে থাকে, সেখানে এমন আয়োজন বেশি হওয়া দরকার। শহর ও গ্রামের সব স্কুলেই এমন আয়োজন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আগত সবাই।
দিনভর এই প্রদর্শনীতে শিশুদের তৈরি করা ফুল, পাখি, গ্রাম, শহর, আদর্শ বাড়ি, বাগান, নদীসহ নানা শিল্পকর্মের প্রদর্শন করা হয়। এতে অংশ নিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
অংশগ্রহণকারী ফাইজান আনসারী রাজ বলেন, সত্যিই ভালো লাগছে। আমরা ও আমাদের বন্ধুরা যে এতো মেধাবী তা আগে জানতাম না।
আরেক অংশগ্রহণকারী মারিয়া বলেন, আমার খুবই ভালো লাগছে। সবাই কতকিছুই না নিয়ে এসেছে। নানা আয়োজন।
ঝিনাইদহ চারুগৃহ শিশুস্বর্গ স্কুল প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আরেফিন অনু বলেন, কোমলমতি শিশুদের অনেক প্রতিভা রয়েছে। পড়ার বাইরে যে তারা সুযোগ পেলে বহু সৃষ্টিশীল কাজ দেখাতে পারে এই এক্সিবিশন তার প্রমাণ।