নিজস্ব প্রতিবেদক : ভবিষ্যৎ প্রজন্ম টেকসই যোগাযোগের জন্য আমাদের নদী রক্ষার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধারণ করে পুরনোকে নিয়েই আমাদের নতুনের কথা বলতে হবে। মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশে নদীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে, আলিয়স ফ্রঁসেজ ঢাকার সহযোগিতায়, ‘নদীর ঐতিহ্য: পুরান ঢাকা থেকে শেখা’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকা গড়ে উঠেছে বুড়িগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে। তাই ঢাকার ইতিহাস, ঐহিত্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে বুড়িগঙ্গা নদীর বিশাল ভূমিকা রায়েছে।
এ প্রদর্শনীটি পুরান ঢাকার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও স্থাপত্য উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে EUNIC হেরিটেজ উদ্যোগের ‘রিভার হেরিটেজ’ এর তৃতীয় অধ্যায়ের প্রকল্প।
প্রদর্শনীতে মুম্বাই, ত্রিবান্দ্রম, প্যারিস এবং ঢাকার স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক কাজ প্রদর্শিত হবে। ফ্রান্সের বিশিষ্ট স্থপতি ক্লাউদিও সেকি এবং ভারতের বিখ্যাত স্থাপত্য পরামর্শক কমলিকা বোসের নেতৃত্বে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যেখানে ৪৯ জন স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষার্থীরা গত ৪ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, পুরান ঢাকার ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে একটি গবেষণামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন।
প্রদর্শনীটি সৃজনশীল কাজের প্রদর্শনের চেয়ে বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পুরান ঢাকার ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি আখ্যান, যা তরুণ স্থপতিদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী মানুষ ও তাদের ঐতিহ্য তুলে ধরেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলিয়স ফ্রঁসেজ ঢাকার ডিরেক্টর Francois Grosjean, ফ্রান্সের ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট Giel, রোমানিয়ার পার্ফমিস্ট আর্স্টিস্ট রোমানা, এজেন্সি ফ্রান্স ডেভলোপমেন্ট এর Secilia, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই. মামুন, জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু।
ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং স্থাপত্য অন্বেষণের এই মিশ্রণে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।