নিজস্ব প্রতিবেদক : নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর দারুসসালাম থানায় দায়ের করা মামলায় কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত মামুনুল হকের সাক্ষ্য নেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর রাকিবুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। কারা কর্তৃপক্ষ আসামিকে (মামুনুল হক) আদালতে না পাঠানোয় আদালত ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে দুজনের সাক্ষ্য শেষ হলো। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার আসামিপক্ষের সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেছেন, মামলার কোনো আসামি তার কথা বলেননি। রাজনৈতিক কারণে তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। উনি (মামুনুল হক) সুস্থ থাকার পরও তাকে আদালতে হাজির করা হয় না।
তিনি জানান, প্রায় ৪০টি মামলার আসামি মামুনুল হক। এসবের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ধর্ষণের মামলার বিচার সবচেয়ে এগিয়ে আছে। বাকি মামলাগুলোর মধ্যে তিনটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে ও ১০টির মতো চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর চার্জ গঠনের পর্যায়ে আছে। বাকি মামলাগুলো তদন্তাধীন।
আইনজীবী মেজবাহ জানান, মামলাগুলোর অধিকাংশই নাশকতার মামলা। তার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে কয়েকটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরাও আছেন।
জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডে একটি বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে নাশকতার মামলাটি করেন বাস মালিক মাহবুবুর রহমান। তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর রাকিবুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে মামুনুল হকসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন—সিহাব, কালু, রাসেল ও জাকির।