নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনার কারণে শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে গত তিন বছর ধরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী বছরেও (২০২৪ সাল) পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে ২০২৫ সাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে ফিরছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার পাঠ্যসূচি (সিলেবাস), পরীক্ষার সময় ও নম্বর জানিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সব বিষয়ে পুরো সিলেবাসে, পূর্ণ সময় ও নম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পুরো সিলেবাসে, ব্যবহারিকসহ ১০০ নম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে যেখানে বহুনির্বাচনিসহ লিখিত পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা তিন ঘণ্টা সময় পাবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ প্রণীত ২০২৫ সালের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। সব বিষয়ে, পূর্ণ সময়ে ও পূর্ণ নম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া গেলেও করোনা মহমারির কারণে সে বছর এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিং করে সে বছর এইচএসসি ও সমমানে সব শিক্ষার্থীকে পাস দেয়া হয়। যে ঘটনা ‘অটোপাস’ নামে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে।
পরে ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপ ভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। সে বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল। চলতি ২০২৩ সালেও এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেয়া হয়।
আগামী বছর ২০২৪ সালে জুন মাসের মাঝামাঝি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা আছে। এ পরীক্ষা হবে এবারের ২০২৩ সালের এইচএসসির পূনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে। এ পরীক্ষা পূর্ণ নম্বরে ও সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ২০২৫ সালে স্বাভাবিক নিয়মে ফিরছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
জানা গেছে, শিক্ষা প্রশাসনের পরিকল্পনা রয়েছে ওই বছরের পরীক্ষা স্বাভাবিক সময়ে (এপ্রিলে) ফেরানোর।