নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্পদ ব্যবস্থাপক ও তহবিল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে ফান্ড আনতে ব্যর্থ হলে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ায় কোটা সুবিধা ও সম্পদ ব্যবস্থাপক ও তহবিল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ বাড়াতে যেকোনো মিউচুয়াল ফান্ড, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) কিংবা অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক বা তহবিল ব্যবস্থাপকদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগের স্বার্থে কিছু নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন।
প্রতিটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি যারা সম্পদ ব্যবস্থাপক বা তহবিল ব্যবস্থাপক হিসেবে নিবন্ধন নিয়েছে তাদের প্রত্যেককে কমপক্ষে একটি মিউচুয়াল ফান্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডের স্কিম কিংবা যেকোনো ধরনের কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে সম্পদ ব্যবস্থাপক বা তহবিল ব্যবস্থাপক হিসেবে নিবন্ধন নেওয়ার তিন বছর কিংবা এ নির্দেশনা জারির এক বছর যেটি পরে হবে সে সময়ের মধ্যে ফান্ড আনতে হবে। এ নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হলে পাবলিক ইস্যু বিধিমালার অধীনে এসব প্রতিষ্ঠান কোটা সুবিধা পাবে না। পাশাপাশি সম্পদ ব্যবস্থাপক বা তহবিল ব্যবস্থাপকের লাইসেন্স বাতিলের জন্য আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
বিএসইসির তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ৬৪টি প্রতিষ্ঠান সম্পদ ব্যবস্থাপকের এবং ২৭টি প্রতিষ্ঠান তহবিল ব্যবস্থাপক হিসেবে নিবন্ধন নিয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহের সম্পদমূল্য (এনএভি) অনুসারে, ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যবস্থাপনাধীন সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। এর বাইরে বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সম্পদ বিবেচনায় নিলে এ খাতে সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে।