1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
ওয়ালটন ডেস্কটপে বিশাল মূল্যহ্রাস, অনলাইন অর্ডারে আরো ১০% ছাড় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি  নারায়ণগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের মিট দ্য বরোয়ার ও গ্রাহক সমাবেশ ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমল আরও ৫ শতাংশ শিক্ষায় কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে: তারেক রহমান এবার ভরিতে ২৯৩৯ টাকা বাড়ল সোনার দাম ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ বিদেশি এলএনজি দেশে জলবায়ু ঝুঁকি তৈরি করছে

জমায়েত নিষিদ্ধসহ থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপির ১২ নির্দেশনা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১১২ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইংরেজি নববর্ষ বরণে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের সভা-জমায়েত বা উৎসব করা যাবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশের পক্ষ থেকে এ কারণে ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করবে। এ আনন্দ উৎসব উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে। কতিপয় ব্যক্তি আনন্দের আতিশয্যে পট্কাবাজি, আতশবাজি, ফানুস উড়ানো, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। ক্ষেত্র বিশেষে প্রকাশ্যে অভদ্র ও আপত্তিকর আচরণ করে থাকে। এ সকল নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকান্ড একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে।

এসব অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে দেওয়া নির্দেশনাসমূহ:

১। ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরণের সভা-জমায়েত বা উৎসব করা যাবে না।

২। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরণের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।

৩। কোথাও কোনো ধরণের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো বা ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না।

৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬ টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।

৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং রাত ৮ টার পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যবৃন্দকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।

৬। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮ টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে উক্ত এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।

৭। একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সকল নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলো।

৮। হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোন যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবে না।

৯। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

১০। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।

১১। আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।

১২। ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা হতে ১ জানুয়ারি ভোর ৫ টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেঁস্তোরা, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।

এছাড়াও সম্মানিত নগরবাসীকে নিম্নোক্ত ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো:

১। ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫ টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহনযোগে প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।

২। রাত ৮ টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাখালী এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, ঢাকা গেট, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং এলাকাসমূহে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, তবে উক্ত এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।

৩। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা হতে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫ টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যতিত অন্য যেকোন ব্যক্তি বা যানবাহন কেবলমাত্র পুরনো হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। উক্ত এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য সকল ক্রসিং বন্ধ থাকবে।

৪। ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টা থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, বকশি বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং এবং চাঁনখারপুল/শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোনো প্রকার যানবাহন প্রবেশ করবে না।

৫। সড়ক ব্যবহার সংক্রান্তে যে কোন জরুরি প্রয়োজনে ফোন করুন : ডিসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০-০৪৪৩৬০, এডিসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০-০৪৪৩৬১, এসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০-০৪৪৩৭২, এসি ট্রাফিক (মহাখালী) ০১৩২০-০৪৪৩৭৫, এসি ট্রাফিক (বাড্ডা) ০১৩২০-০৪৪৩৭৮, ডিসি ট্রাফিক (রমনা) ০১৩২০-০৪২২৬০, এডিসি ট্রাফিক (রমনা) ০১৩২০-০৪২২৬১, ডিসি (গুলশান) ০১৩২০-০৪১৪২০ ও ডিসি (রমনা) ০১৩২০-০৩৯৪৪০।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ