নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে গত কয়েক বছর ধরে টালমাটাল বিশ্বের অর্থনীতি। এর উত্তাপ থেকে রেহাই পায়নি বাংলাদেশও। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের পুঁজিবাজারসহ সার্বিক অর্থনীতিতে। ফলে ২০২৩ সালে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশের পুঁজিবাজার। তাই নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে এবং গতিশীলতা বজায় রাখবে এমন প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা।
এ প্রত্যাশায় সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইক্স ৩.৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে ৬২৫০.০৮ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ০.৮৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৬৪.৯৯ পয়েন্টে এবং ব্লুচিপ সূচক ডিএস৩০ ০.৭৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০৮৪.৫৭ পয়েন্টে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়ালগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, দাম কমেছে ২৭টির এবং দাম অপরিবর্তীত রয়েছে ৫৫টির।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিনয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিনিয়োগকারীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ২০২৩ সালের বেশির ভাগ সময়ই পুঁজিবাজার হতাশার মধ্যে কেটেছে। বাজার নিন্মমূখী, কোম্পানিগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশ না পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন বছরে আমরা দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট পুঁজিবাজার প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বাজারের উন্নয়নের জন্য বিগত বছরে নিরলসভাবে কাজ করে যে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সেগুলোর সুফল নতুন বছরে আমরা পাবো বলে প্রত্যাশা করছি।